পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৌসুম অনুযায়ী দেশীয় বিভিন্ন ফলের চাষ হয়। এর পাশাপাশি বিদেশি ফলের চাষ বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ। বছরজুড়ে বাজারে যাতে ফল পাওয়া যায় সে দিকটি চিন্তা করেই বিদেশি ফলের চাষ বেড়েছে।
অনুক‚ল আবহাওয়া, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পর্যাপ্ত সেবা ও স্থানীয় উদ্যোক্তা চাষিদের উদ্যোগে এগিয়ে যাচ্ছে এই খাত। সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে দেশে উৎপাদিত দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফল রফতানির কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
বর্তমানে সউদী আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ফল। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত বিদেশি ফলও রফতানি করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি অধিদফতরের।
আর সেকারণেই চাষিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষিতথ্য সেবা বিভাগের পরিচালক ও কৃষিবিদ ড. মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফলের জন্য প্রথমত দরকার আবহাওয়া। যদি আবহাওয়া ম্যাচ না করে তাহলে হবে না। আমাদের সৌভাগ্য যে, দেশের আবহাওয়া বেশ কয়েকটি সুস্বাদু ও চাহিদাসম্পন্ন বিদেশি ফলের চাষের জন্য সহায়ক।
কৃষিতথ্য সেবা দফতর বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত ফলের পরিমাণ ছিল ১২১ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন। সঠিক হিসাব না থাকলেও এর মধ্যে প্রায় দুই শতাংশ বিদেশি ফল রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে ইতোমধ্যে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর থেকে ‘ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ শীর্ষক এক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী বছর।
প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ কৃষককে বিদেশি ফল চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ২০২০ সালে এসে এই প্রকল্প থেকে ইতিবাচক ও সম্ভাবনাময় ফলাফল মিলবে। এ ছাড়া ‘সারা বছর ফল উৎপাদন’ শীর্ষক আরেকটি প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর। এ প্রকল্প চালুর পর ২০২৬ সালে গিয়ে শেষ হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর ও বেশ কয়েকজন বিদেশি ফলচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে ড্রাগন ফল চাষের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় বিদেশি ফলের চাষ। বর্তমানে দেশে ড্রাগন ফলের পাশাপাশি স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, অ্যাভোকাডো, পার্সিমন, টক আতা, প্যাসন, নাশপাতি, আলু বোখারা ও পিচসহ বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে।
এসব ফলের কোনো না কোনোটি দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই চাষ করা যায়। উত্তরবঙ্গ, মাগুরা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান। রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, নাটোরের মতো জেলাগুলোতে ব্যাপক চাষ ও ফলন হচ্ছে স্ট্রবেরির। আর সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকার উঁচু এলাকাগুলোতে ভালো ফলন হয় অ্যাভোকাডোর।
বিদেশি ফল চাষ করে সফলতাও পাচ্ছেন দেশি চাষি ও উদ্যোক্তারা। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ খাতে ক্যারিয়ার গড়তে। এমন দুই উদ্যোক্তা হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আতাউর রহমান ও আবদুল আজিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে চাকরির পিছনে না ছুটে তারা মিলে শুরু করেন বিদেশি ফলের চাষ। পরামর্শ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কৃষি বিশেষজ্ঞের। ২০১৩ সালে স্ট্রবেরির চাষ শুরু করে সে বছরই আয় করেন ১১ লাখ টাকা।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বিদেশি ফল চাষে যেমন পুষ্টি চাহিদাপূরণ হবে তেমনি কর্মসংস্থান বাড়বে। অন্যদিকে পরিকল্পনা করে অগ্রসর হলে এসব ফল রফতানির বড় সুযোগ তৈরি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।