পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের অভ্যন্তরে অস্বস্তি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা নিজেদের মধ্যে তাকাতাকি এই বুঝি কিছু হচ্ছে এবং নিজেদের মধ্যেই অস্বস্তি আতঙ্ক বিরাজ করছে। কি জানি ‘আপার’ কি হইছে, কোন দিন কারে ক্ষমতা দিয়া জায়গা নাকি এইসব চলছে। তিনি বলেন, এখনতো গুজবের শেষ নেই; এই আসছেন, এই যাচ্ছেন, বোন হচ্ছেন না মেয়ে হচ্ছেন, কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এসব গুজবের কোনও শেষ নেই। যাওয়া-আসার মধ্যে নীরবতা, আসার পরে প্রেসব্রিফিং করা, এখন একা একা যাওয়া, এই যে কত রকমের কথা ডালপালা চারিদিকে ছড়াচ্ছে এই ছড়ানোর মধ্য দিয়েই সবার মধ্যেই তাকাতাকি, যে কি জানি হচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সংকট নিরসনের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাহসের অভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তি সরকারকে ধাক্কা দিতে পারছে না মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সরকারের এইরকম একটা দুরবস্থার মধ্যেও একটু সাহসের অভাবে আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তিরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ধাক্কা দিতে পারছি না। এখনও মনে হয় ভালোবাসা কিঞ্চিত, সুযোগ যদি পাই তাহলে আমি দুটি রাত বাড়িতে সুন্দরভাবে কাটাতে পারি, ভালোভাবে চলতে পারি। এখনও আদালতে গেলে ভাবি জামিন মনে হয় দিবে না। কেন এত ভয়, কিসের ভয়? মৃত্যু ছাড়া আর মানুষের জীবনে ভয় পাওয়ার কিছু আছে। মৃত্যু তো প্রত্যেক জীবনের হবে এটা অবধারিত। মৃত্যুকে আমি যতই ভয় পাই না কেন মৃত্যুকে তো আমি অবহেলা অবজ্ঞা করতে পারব না। সে কারণেই আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিটি মানুষের ভয় কে জয় করার মানসিকতা তৈরি করার দরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটা জাতীয় সমস্যা এবং একটি দেশের সমস্যা। এটি কোন একটি রাজনৈতিক দলের সমস্যা নয়। এটি সমাধানে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে চিরস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই এবং দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দুর্নীতির কারণেই আজকে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রবণতা বেশি এবং ক্ষমতায় থাকার প্রবণতা বেশি থাকার কারণ বিনা ভোটে একবার ক্ষমতায় গেলে কোটি কোটি টাকা কামানো সম্ভব। তখন আইজিপি এসেও সালাম দেয়। যখন ক্ষমতায় নেই তখন কনস্টেবল এসেও মাথায় বাড়ি দিবে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা ইঁদুরের মতো লুকিয়ে সভা-সমাবেশ করছে আর মুখে বড় বড় কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে রোহিঙ্গারা সভা-সমাবেশ করেছে, কিন্তু আমরা সভা করতে পারছি না। আমরা ইঁদুরের মতো লুকিয়ে সভা করছি আর মুখে বড় বড় কথা বলছি। এটা বোকামির কাজ। রোহিঙ্গাদের দেখে আমাদেরও মাঠে নামা উচিৎ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই চাই রোহিঙ্গারা চলে যাক, কিন্তু গলা ধাক্কা দিয়ে নয়, অকারণ অপবাদ দিয়ে নয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের উচিৎ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে কাজে লাগানো এবং আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। অন্যদিকে চীনের উপরে সঙ্গবদ্ধভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু এই জায়গায় ঐক্যের জন্য চীনকে বুঝিয়ে দেন, আমরা সবাই এক জায়গায় আছি, তোমরা যদি আমাদের সাথে না থাকো তোমাদেরও ক্ষতি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে সবসময় ব্যর্থ হয়েছি। যখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমার দেশে আসলো তখন আমরা মানবিক কারণে জায়গা দিয়েছি। এটা আমাদের কর্তব্য ছিলো। তখন খালেদা জিয়াও বলেছেন ‘জায়গা দেন’, আমরা সবাই বলেছি ‘জায়গা দেন’। এখন আমাদের পিছিয়ে গেলে চলবে না, আমরা অকারণে আমাদের সব দায়দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি। এটা বোকামি, এটা 'র' এর প্ররোচনা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এমএ হালিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।