পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রমেই কমছে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দাম। সেই তুলনায় বাংলাদেশি মুদ্রা অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে। বর্তমানে এক ডলারের (ইউএসডি) বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ২৮ পয়সায়।
পাশাপাশি টাকার বিপরীতে রুপির দরও কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৮৬ রুপি। বাংলাদেশি এক টাকা ১৪ পয়সায় মিলছে ভারতীয় এক রুপি। ফলে ভারতীয় রুপির সমান হতে বাংলাদেশি মুদ্রার লাগবে মাত্র ১৪ পয়সা। টাকার বিপরীতে রুপির দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়ালেট ইনভেস্টর নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের ধারণা, ২০২৪ সাল নাগাদ রুপি ও টাকার মান সমান হতে পারে। কিংবা টাকার মান বেশি হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার একাধিক দেশের মুদ্রার ওপর। এর জেরেই ডলারের চাহিদা বেড়েছে। ফলে কমছে রুপির দর। একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের শিল্পক্ষেত্রের মন্দা বাজারও। এছাড়া ভারতের শেয়ারবাজার সূচকের তীব্র হ্রাসও রুপির দরপতনে প্রভাব ফেলছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার বিপরীতে রুপির দর কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে যারা বেড়াতে বা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন তাদের সুবিধা হলেও বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশেরই।
জানা গেছে, ’৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকা ও রুপির দর প্রায় সমান ছিল। এরপর থেকে পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম। এ বছর আগস্টের শুরু থেকেই ভারতীয় মুদ্রার অবনতি শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশের টাকা শক্তিশালী হওয়ায় রফতানি বাণিজ্যে দেশটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। যদিও ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মিলছে বাড়তি সুবিধা। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় পণ্যের অবাধ আমদানি হলে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতন হওয়ায় বাংলাদেশের টাকা শক্তিশালী হচ্ছে। এতে ভারত থেকে আমাদের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি সুবিধা হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছে।
টাকার বিপরীতে রুপির দাম দীর্ঘমেয়াদের জন্য কমে গেলে বাংলাদেশের জন্য বেশি ক্ষতি হবে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, যদি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য টাকার বিপরীতে রুপির দর কমে যায় তাহলে বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি হবে। ডলারের বিপরীতে রুপি কমে গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়বে। কারণ, ক্রেতারা কম দামে ভারতীয় পণ্য কিনতে পারবে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশি পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বেশি টাকা খরচ করতে হবে। এতে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে।
জানা গেছে, ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির তুলনায় সেখান থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক বেশি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য রয়েছে ৮০০ কোটি ডলারের মতো। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গত অর্থবছরে ভারতে রফতানি হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের পণ্য। বাকি ৭০০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য ভারত থেকে আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর বাইরে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে এখন বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।