প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আপনি ছাড়া আর কেউ যদি সাহায্যের মতো থাকে, তাহলে আপনি নামাজ ছাড়বেন না। নামাজ যদি শেষ দিকে থাকে, তাহলে নামাজ শেষ করতে হবে। যিনি মাথা ঘুরে পড়লেন, তার কোনো প্রতিকার হাতের কাছেই থাকা না থাকার মধ্যেও পার্থক্য আছে। নামাজ ছেড়ে দিলেন, কিন্তু কিছু করতে পারলেন না বা করার মতো পরিবেশ ছিল না। এ অবস্থায় নামাজ শেষ করতে হবে। রোগী কী ধরনের এর ওপরও নিকটস্থ একজনের নামাজ ছাড়ার সাথে সম্পর্ক আছে। বয়স্ক মানুষ, হৃদরোগী বা ডায়াবেটিক যাদের এক মুহূর্তেই বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাদের বেলা ব্যবস্থা এক রকম, অন্য কারও বেলায় অন্যরকম। তা ছাড়া এমন ঘটনার বেলায় জামাতের ক’জন নামাজ ছাড়বে নাকি পুরো ফ্লোরের লোকই নামাজ ছেড়ে দেবে। দু-চার মিনিটের মধ্যে রোগীকে নিয়ে তারা কী সেবাটি দিতে পারবে। এসবই কমন সেন্সের ওপর নির্ভর করে। তবে নামাজ খুব সহজে ছেড়ে দেয়ার বিষয় নয়। সুচিন্তিতভাবে নেহায়েত প্রয়োজনে জরুরি সংখ্যক মুসল্লি নামাজ ছাড়বেন। তবে, হইচইয়ের জন্য নয়, কোনো উপকারী ভ‚মিকা রাখার জন্য। খেয়াল রাখতে হবে নামাজ না ছাড়লে সামান্য সময়ের জন্য বড় কোনো ক্ষতিবৃদ্ধির আশঙ্কা না থাকলে নামাজ না ছাড়াই কর্তব্য। জীবন-মরণ সমস্যায় বিবেচনা সাপেক্ষে ছাড়াও যায়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।