পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসনে বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদমর্যাদা দিয়ে অবসরে পাঠাবে সরকার। অন্যদিকে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব পদে বড় ধরনের পদোন্নতি আসছে। মূলত বিসিএসের ৮৪ ব্যাচ থেকে শুরু করে ১১তম ব্যাচ বিবেচনায় নিয়ে এ পদোন্নতির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৬টি ব্যাচের মোট ৪০৬ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২০৫ জনকে পদোন্নতির বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত থাকছেন বলে এসএসবির সভা সূত্রে জানা গেছে। এদিকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি মাসের মধ্যে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে তার অফিস কক্ষে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সভায় সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চ‚ড়ান্ত করা হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইনকিলাবে বলেন, পদোন্নতির দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হযেছে। তালিকা চূড়ান্ত হলেই পদোন্নতি দেয়া হবে। তবে এসএসবি এ সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাসের মধ্যে প্রশাসনে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি নিয়েছে। তিন মাসের মাথায় আরো বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়া হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তা বাছাইয়ের (ফিটলিস্ট) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
গত আগস্ট মাসে ৯ কর্মকর্তাকে সচিব পদে পদোন্নতি হয়। তারা হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দিন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাসনা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) সচিব মো. রকিব হোসেন পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব। চলতি এবং আগামী মাসে অনেক অতিরিক্ত সচিব অবসরে যাবেন সে কারণে যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে এসএসবিতে আলোচনা হবে।
এদিকে নানা কারণে পদোন্নতিবঞ্চিতদের মধ্যে লেফটআউট সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা তাদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও এসএসবির সদস্যদের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮৪ ও ৮৫ ব্যাচের কয়েকজন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, তাদের চাকরি আছে ৬ মাস থেকে বড়জোর দেড় বছর। বিদায়বেলায় টানা তৃতীয় মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে। তারা বলেন, কেন এমন হলো, কেন তারা সময়মতো পদোন্নতি পাননি, সে বিতর্ক নিয়ে এখন তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তারা শুধু পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদার প্রশ্নে বিদায়বেলায় অন্তত একটি ধাপে পদোন্নতি প্রত্যাশা করছেন।
জানা গেছে, প্রশাসনে পদ না থাকলে ও ইতিবাচক ধারায় পদোন্নতি হবে। সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কাউকে প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হবে না। জুনে তিন স্তরে সম্ভাব্য পদোন্নতি দেয়ার সময় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। শুধু কোনো সংস্থার নেতিবাচক রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। প্রয়োজনে তা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। সেক্ষেত্রে ডিসির মাধ্যমে গোপনীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি দক্ষ ও জনমুখী প্রশাসন গড়ে তুলতে যোগ্য কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব দ্রুত উপরের ধাপে তুলে আনা হবে। এ উদ্দেশ্যে যোগ্যতা অর্জনের ৬ মাসের মাথায় ১১তম ব্যাচকে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে সরকার চাইলে আগামী ২ বছরের মধ্যে এ ব্যাচ থেকেও সচিব নিয়োগ দিতে পারবে। প্রশাসনে সচিবের খাতায় এবার ৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ২০১৯ সালে ২০৬ জন এবং ২০২০ সালে ১৮২ জন কর্মকর্তা অবসরে যাবেন। এদের মধ্যে ২০১৯ সালে ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের ৬ জন, ৮২ বিশেষ ব্যাচের ৭ জন, ৮৪ ব্যাচের ৭০ জন, ৮৫ ব্যাচের ৯৫ জন এবং ৮৬ ব্যাচের রয়েছে ২৮ জন। আগামী বছর ৮২ নিয়মিত ব্যাচের ১ জন, ৮৪ ব্যাচের ৪১ জন, ৮৫ ব্যাচের ১০১ জন এবং ৮৬ ব্যাচ থেকে অবসরে যাবে আরও ৩৯ জন। এর ফলে প্রশাসনে বড় পদশূন্যতা তৈরি হবে। এ কারণে আগামী বছর থেকে ৮৬ ব্যাচ ছাড়াও পর্যাক্রেম ৯ম, ১০ম ও ১১তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদায়ন করা কঠিন কিছু হবে না। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে প্রশাসনে বড় তিনটি ব্যাচের বেশির ভাগ কর্মকর্তা অবসরে চলে যাবেন। এর ফলে পিরামিড কাঠামো ভেঙে পড়া প্রশাসনের পুঞ্জীভ‚ত দীর্ঘদিনের সঙ্কটের অবসান হবে। এরপর পদোন্নতি জট এমনিতেই কমে আসবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রশাসনে যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে ৪০৬ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেয়া হবে। যেসব ব্যাচকে পদোন্নতি আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে ৮৪ ব্যাচের ২৮ জন কর্মকর্তা, ৮৫ ব্যাচের ৯১ জন, ৮৬ ব্যাচের ৪৯ জন, ৯ ব্যাচের ৩৬ জন, ১০ ব্যাচের ৩৫ জন এবং ১১ ব্যাচের ১৬৪ জন। এর মধ্যে ১২৬ জনকে ফিট দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১১তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাচের ১২৬ জন কর্মকর্তা যুগ্মসচিব হন ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর। যুগ্মসচিব পদে ২ বছর চাকরি করলে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জিত হয়। ইতোমধ্যে তাদের সে সময়সীমা পার হয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত পদে কর্মকর্তার সংখ্যা ৪৬৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।