পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানহানির অভিযোগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী। আদালত সূত্র জানায়, মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। এরপর চলতি বছরের ১২ মে সিএমএম আদালত তাকে জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ গত ২১ আগস্ট ব্যারিস্টার মইনুলকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর পর ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। ব্যারিস্টার মঈনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ওই প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় তার নামে। পরে কুমিল্লা, রংপুর, কুড়িগ্রামে ও বিভিন্ন জেলায় মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় ৫ মাসের ও কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। রংপুরে দায়ের করা মামলায় ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মামলায় জামিন পাওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি কারামুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।