পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নববর্ষ উদযাপন বলতে ইসলামে কোন বিষয় নেই। বরং বর্ষ উদযাপনের নামে জৈবিক উল্লাস আর বাধভাঙা নোংরামী ইসলামের দৃষ্টিতে কদর্য ও নিষিদ্ধ কাজ। পরকালের অভিযাত্রীদল হিসেবে চিরতরে ফেলে আসা বিগত সময়গুলোর জন্য আত্মবিশ্লেষণ করাই বরং উচিত। আমীরুল মুমিনীন উমার (রা.) বলেন :
‘তোমাদের নিজেদের হিসাব গ্রহণ কর তোমাদের কাছ থেকে হিসাব নেয়ার পূর্বে এবং সেসবকে ওজন করে নাও ওজন দেয়ার পূর্বে।’ তিরমিযী হা: ২৪৫৯
এভাবে আত্মবিশ্লেষণের পথ ধরে অতীতের ব্যর্থতার অনুতাপ ও আত্মপীড়ন থেকে উদ্ধার পেতে নতুন বছর বরং নতুন প্রত্যয়ের ল্যান্ডমার্ক হতে পারে। আগামীর প্রতিটি দিনে যেন সুন্দর ও পূণ্যময়তার বিশাল অর্জন জমা করা যায় তার জন্য চিত্তে ব্যকুলতা দেখা দিতে পারে। আর এটি হওয়া বড় কাম্য। মহান আল্লাহ বলেন :
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহভীতি অবলম্বন কর এবং তোমাদের প্রত্যেকের উচিত চিন্তা করে দেখা, আগামীকালের জন্য সে কী (পূণ্য আকারে) অগ্রিম প্রেরণ করেছে। আর তোমরা আল্লাহভীতি অবলম্বন কর: তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। সূরা হাশর : ১৮
নববর্ষ উদযাপন তা ঈসায়ী কাল হোক আর হিজরী সাল হোক কোনটিই ইসলামে স্বীকৃত নয়। নববর্ষ উদযাপনের কোন আমল না রসূলুল্লাহ (স.) থেকে এসেছে, না সাহাবাগণ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে এসেছে। এ ধরনের কোন কাজের অস্তিত্ব পূর্ববর্তী জমহুর আলেমগণের মধ্যে আদৌ বিদ্যমান ছিল না।
মহানবী (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করল যে আমল আমরা করিনি, তা পরিত্যাজ্য। সহীহ মুসলিম হা: ১৭১৮
ঘটা করে নববর্ষ উদযাপন করা, ঈদের ন্যায় এই সময় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠা এসব কিছুই বিজাতীয় রীতিনীতি, মহান আল্লাহ বলেন :
‘বলুন আল্লাহর হিদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত। আর যদি আপনার কাছে জ্ঞান আসার পরেও আপনি তাদের (ইয়াহুদ-নাসারা) অনুসরণ করেন তবে আল্লাহ পক্ষ থেকে আপনার কোন অভিভবক থাকবে না এবং কোন সাহায্যকারীও থাকবে না।’ সূরা বাকারা আয়াত: ১২০
বস্তুত ইয়াহুদ-নাসারাদের সভ্যতা সংস্কৃতির সাথে মিলে গিয়ে আমরাও আজ ধর্ম-কর্মের মৌলিকত্ব থেকে সরে পড়েছি। অথচ উচিত হলো তাদের আনন্দ উল্লাসপূর্ণ প্রবৃত্তিতাড়িত এসব কর্মকান্ড থেকে বেঁচে থাকা। উমার (রা.) বলেন :
তোমরা আল্লাহর দুশমনদের ঈদ থেকে বিরত থাকো। সহীহ বুখারী আত্তারীখুল কাবীর, হা: ১৮০৪
মহানবী (স.) এ মর্মে হুশিয়ার করেছেন: ‘যে বিজাতীয় সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।’ আবু দাউদ হা: ৪০৩১, সনদ হাসান
ইসলামে হিজরী সাল অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ও স্বকীয়তা বজায় রাখার এক অনন্য উদ্দেশেই হিজরী সালের প্রবর্তন। বিশ্বময় হিজরী সালের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব। একটি সালের বিদায় নেয়া এবং আরেকটি সালের আগমন যেন হয় গ্লানি ও অনুতাপ মুছে আল্লাহর আনুগত্য ও পুণ্যশীলতার সৃদৃঢ় পদক্ষেপ। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।