পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জুয়ার আসর থেকে বহিরাগতসহ ১৪ জনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটকদের দাবি সেখানে তারা জুয়া নয় বরং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে তাস খেলছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারি বলেন, তিনি অনেক আগে মাঝে মাঝে ক্লাবে যেতেন কিন্তু কয়েক বছর ধরে সেখানে আর যান না। না যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সন্ধ্যা নামলেই সেখানে জুয়ার আসর বসে। গাঁজার গন্ধ আর সিগারেটের ধোয়ায় সেখানে থাকা যায় না।
প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন কর্মচারি ক্লাবে দুটি কক্ষে ৫-৪০জন লোক কয়েকটি গ্রæপে ভাগ হয়ে জুয়া খেলছিলেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদের আটক করে। অভিযানে দুই কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ তাস উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মচারি সমিতির সভাপতি ইমান হাসান পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। আটকদের মধ্য থেকে ১৪জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয় হয়েছে।
প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারি ক্লাবে মাদক ও জুয়া খেলা হয় এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টোরিয়াল বড়ি ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কর্মচারি ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় জুয়া খেলার অপরাধে কর্মচারিসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
জুয়া খেলায় বিষয়টি স্বীকার করে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি ইমান হোসেন বলেন, এখানে খুবই অল্প পরিমাণের বাজিতে জুয়া খেলা হয়। কখনো হয়তো পেপসি বা চায়ের বাজিতে খেলা হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্লাবগুলোতে আরও বড় বাজিতে জুয়া খেলা হয় সেখানে পুলিশ বা প্রক্টর অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। আমরা আগামীকাল ইউনিয়নের বৈঠক ডেকেছি। বৈঠক শেষে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, জুয়ার আসর থেকে ৩৫-৪০জনেক আটক করা হয়। পরে প্রক্টরে সঙ্গে কথা বলে বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দিয়ে ১৪ জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদেরকেও মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।