Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৫.৪৯

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে চাল, মাছ, মাংস, ডিম ও মসলার মতো খাদ্যপণ্যের দাম। বেড়েছে পরিধেয় বস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ, পরিবহণ ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুত বিলের মতো খাদ্যবহির্ভূত পণ্য এবং সেবার দামও। এর পরেও আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার না বেড়ে উল্টো কমেছে বলে দাবি করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে। জুলাই মাসে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট পয়েন্ট (গতবছরের একই সময়ের তুলনায়) ভিত্তিতে গত মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে ব্যপক হারে। গত মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ ভাগ। আর গত বছরের আগস্টে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মাসিক ও বার্ষিক হিসাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে কমেছে।
খাদ্যবহির্ভূত অন্যান্য পণ্যে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি কিছ‚টা কমেছে বলে প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে। এতে বলা হয়েছে, আগস্টে খাদ্য ছাড়া অন্যান্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের মাসে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনটি তুলে ধরে পরিকল্পনা বলেন, বৃষ্টি, বাদল ও বণ্যার প্রভাব কমে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়েছে। কোরবানি ঈদের পরে চাহিদা কমে আসার পাশাপাশি দাম কমে আসায় মূল্যস্ফীতি সে হারে বাড়েনি।
গতমাসে ঈদ উদযাড়িত হয়েছে, এমনটা জানানো হলে, বিবিএস মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসের ১৩ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত সময়ে বাজার মনিটরিং করে থাকে। ঈদ আগেই উদযাপিত হওয়ায় এর প্রভাব মূল্যস্ফীীতর তথ্যে পড়েনি।

প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে পল্লী এলাকায় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর শহর এলাকায় আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশ। পল্লী ও শহর এলাকায জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, প্রতি মাসেই শহর ও গ্রাম অঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের পৃথক মূল্যস্ফীতি সূচক তৈরি করে বিবিএস। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো এক বছরে জীবন যাত্রার ব্যয় একই পরিমাণে বেড়েছে। এক বছর আগে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা লাগতো একই পণ্য কিনতে বর্তমাণে ১০৫ টাকা ৪৯ পয়সা লাগবে। আয় না বাড়লে এই পরিমাণ মূল্যের পণ্য কম কিনতে হবে ভোক্তাদের। অবশ্য এক বছরে মূল্য ও মজুরি সূচক আগস্ট মাসে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিএস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ