Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘের আপত্তি প্রত্যাহার হলে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ হবে

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত-মিয়ানমার গভীর সমুদ্রে প্রবেশের পথ বিচ্ছিন্ন করে বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের উন্মুক্ত যোগাযোগের পথকে অবরুদ্ধ করে দিতে চায়। দেশের স্বার্থকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ করে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি উত্থাপন করে। যা এখনো অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়ে গেছে। ভারতের চাপে সমুদ্রসীমা নিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপিত আপত্তি প্রত্যাহার করা হলে তা’ হবে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব আরো বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সা¤প্রতিক কিছু বক্তব্য জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে জাতিসংঘে উত্থাপিত অনিষ্পন্ন সমুদ্রসীমা এবং কাশ্মীর ও আসাম ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বিষয়ে যেমন জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়, তেমনি মানবাধিকার বিষয়েও আমাদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন গত ২০ আগস্ট ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে ঢাকায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, কিভাবে বঙ্গোপসাগরে কনটিনেন্টাল শেলফ নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায় সে বিষয়ে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে । উভয়পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি করবে এবং জাতিসংঘে তাদের পেশ করা আপত্তি তুলে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট সমাধান ছাড়া জাতিসংঘে দায়ের করা এই আপত্তি প্রত্যাহার করা বাংলাদেশের জন্য হবে ধ্বংসাত্মক এক পদক্ষেপ। এমনটা ভারত ও মিয়ানমারের কাছে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার শামিল এবং দেশের জন্য চরম ক্ষতি বয়ে আনবে। এর ফলে গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার দাবি ভয়ানক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণে ভারতের নির্ধারিত সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের বিষয়টিও এর ফলে অমীমাংসিত থেকে যেতে পারে।



 

Show all comments
  • Maksudul Hassan ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 0
    well done .....
    Total Reply(0) Reply
  • TI PU ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 0
    সুন্দর বিবৃতিতে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Ĥeařt Ĺeeŝ Řãťoň ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫০ এএম says : 0
    রাইট এখনো সময় অাছে সাবধান হওয়ার
    Total Reply(0) Reply
  • Shamsur Rahim Faroque ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫১ এএম says : 0
    ঠিকমত না বু‌ঝে, না জে‌নে বিভ্রা‌ন্তিকর বিবৃ‌তি দেয়া হ‌য়ে‌ছে। ভার‌তের সা‌থে বাংলা‌দে‌শের সমুদ্রসীমা বি‌রোধ ছিল প্রায় ২৫,০০০ বর্গ কি‌লো‌মিটার নিয়ে। তার ম‌ধ্যে United Nations Convention on Law of Sea (UNCLOS)-এর অধী‌নে আর্বি‌টেশা‌নে ন্যায্যতার ভি‌ত্তি‌তে বাংলা‌দেশ পে‌য়ে‌ছে ১৯,০০০ বর্গ কি‌লো‌মিটা‌রের বে‌শি এলাকা। মূলত বাংলা‌দে‌শের দা‌বি‌টিই প্র‌তি‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। The International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS)-এ মায়ানামা‌রের সা‌থেও বাংলা‌দে‌শের‌ দাবি অ‌ধিকাংশ বাস্তবা‌য়িত হ‌য়ে‌ছে। বাংলা‌দেশ পে‌য়ে‌ছে ১,১৭,০০০ বর্গ কি‌লো‌মিটা‌রের বে‌শি এলাকা। এছাড়া ২০০ কি‌মি পর্যন্ত বাংলা‌দে‌শ এক্সক্লু‌সিভ ইকো‌নো‌মিক জোন লাভ ক‌রে‌ছে। হা‌সিনা সরকা‌রের এটা বিরাট ‌বিজয় ও অবদান, যা বিএন‌পির অজ্ঞতা ও গা‌ফিল‌তির কার‌ণে বাংলা‌দেশ চিরত‌রে হারা‌তে ব‌সে‌ছিল। জা‌তিসংঘ নির্ধারিত সময়সীমা পার হ‌য়ে যায় যায় অবস্থা হ‌লেও, বিএন‌পি কো‌নো পদে‌ক্ষেপ নেয়‌নি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ