নিরীহ মোটরসাইকেল মেকানিক্সকে ভুল মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ এএসআই আলমগীর ও এএসআই জাকারিয়াকে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম। ঘটনার ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের শ্যামলী রিং রোডে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে। এলাকায় তিনি মোটর মেকানিক্স হিসেবেই পরিচিত।

ভুক্তভোগী কামাল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে আমার নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে দাবি করে পুলিশের দুই কর্মকর্তা আমাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারি আমার নাম ও পিতার নামের সঙ্গে মাদক মামলার এক আসামি ও তার বাবার নামের মিল রয়েছে। আসামি কামালের জন্ম ১৯৮২ সালে। আমার জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৬ নভেম্বর। আসামি কামালের মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, এলাকা ও পেশার সঙ্গে আমার মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, এলাকা ও পেশার মিল নেই। যার ফলে ওসি সাহেব বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে ছেড়ে দেন।
গত রোববার মোহাম্মদপুর থানার এএসআই আলমগীর দোকানে এসে আমাকে খোঁজেন। পরে আমি তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, মামলা থেকে তিনি আমাকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন। সে বাবদ তাকে কিছু খরচের টাকা ও আমার ভোটার আইডি কার্ড, দোকানের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্য কাগজপত্র দিতে হবে।
কামাল হোসেন আরও বলেন, আমি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এসব দিতে অস্বীকৃতি জানাই। ঘটনাটি পরিচিত কয়েকজনকে জানিয়ে রাখি। গতকাল বিষয়টি নিয়ে তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম আমাকে ডেকে নেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি তাকে বিস্তারিত জানাই।
এডিসি ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, টাকা চাওয়ার বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে নিরীহ মেকানিক কামাল হোসেনকে আটকের ক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে ডিসি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।