Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদা আদায়ের নতুন ফাঁদ ৯ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করে দুর্বল কোনো তথ্যকে কাজে লাগিয়ে ফোনে হুমকি দিয়ে নতুন ফাঁদ তৈরি করে চাঁদা আদায় চক্রের ৯জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইলফোনে চাঁদাবাজির সংঘবদ্ধ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতা করা হয়। গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একাধিক দল তাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা হলো-মিন্টু খান (৩৫), রাকিব খান ওরফে টিটুল (৩৪), জামাল শেখ (৪৩), রবিউল ইসলাম (৩৪), সোহেল হাওলাদার (২৬), শামিম খান (১৯), বিল্লাল খান (৩৫), আব্দুল মোমিন (২৮) ও রাব্বি হোসেন (২৪)।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি ও চাঁঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছে। চার স্তরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব ভাগ করে কাজ করে আসছে চক্রটি। প্রথম স্তরে (মাঠকর্মী) সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজচক্রের সদস্যরা ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী/কর্মকর্তা, চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের ভিজিটিং কার্ড বিভিন্ন কৌশলে সংগ্রহ করে। পরে তাদের গ্রæপের তথ্য সংগ্রহকারী সদস্যদের কাছে প্রদান করে। দ্বিতীয় স্তরে চক্রের তথ্য সংগ্রহকারীরা প্রাপ্ত ভিজিটিং কার্ডের উল্লিখিত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে। ব্যক্তির ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। ব্যক্তির দুর্বল বিভিন্ন দিক চিহ্নিত করে। তৃতীয় স্তরে মোবাইল অপারেটিং গ্রæপ ভিজিটিং কার্ডের তথ্যাদি পর্যালোচনা শেষে ফোন করে চাঁদা দাবি করে। বিভিন্ন মামলার দাগি আসামির নামে ফোন করে। জেল থেকে মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি, আবার কখনও শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর সদস্য উল্লেখ করে কখনও কাল্পনিক সন্ত্রাসী শাহীন শিকদারের নামেও চাঁদা দাবি করে।

তিনি আরো বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে টার্গেটকৃত ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মাকে অপহরণ করার ভীতি প্রদান করে আবার কখনও ওই ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির কাজে ব্যবহৃত সিমগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত। চতুর্থ স্তরে বিভিন্ন স্থান থেকে বিকাশের মাধ্যমে চাঁঁদার টাকা গ্রহণ করে। আবার কখনও সুযোগ-সুবিধা বুঝে নগদ টাকা গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি ২০০৬ সাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলফোনে অপহরণ ও হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ