পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ধর্মীয় বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে সাইবার ট্টাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। গতকাল রোববার ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্টাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আ স ম জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল এ মামলা করেন।
মামলার বাদী বলেন, আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সময়ে আদেশ দেবেন আদালত।
মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম পরিচালিত হয়। ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না ধর্মীয় কোনো গ্রন্থ। ইসলাম ধর্মের যে রীতিনীতি, তা অনুযায়ী আসামির (তাহেরী) কর্মকান্ড মুনাফিকের শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না, অথচ আসামি তা করেন। তার বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়। ‘বসেন বসেন, বইসা যান’, ‘ঢেলে দেই’ ধরনের বাক্য উচ্চারণ করেন আসামি, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। আসামির এসব কর্মকান্ড ইসলামে বিদআত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। তার প্রচারিত ভিডিসমূহে দেখা যায়, তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ-গান করেন, ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন। আসামির এসব কর্মকান্ড ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রওচার করে ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। আসামির এমন ওয়াজ মাহফিলের নামে ভান্ডামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ইসলাম ধর্মের মধ্যে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে সঠিক শিক্ষা না দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করে আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম তৈরি করে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে বাদী গত ৩১ আগস্ট কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি না নিয়ে আদালতে দায়েরের পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।