পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসা শিক্ষার জন্য অত্যন্ত আন্তরিক হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধারায় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য তিনি ইতোমধ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর করেছেন।
শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বৈষম্যও দূর করেছেন। এবার তিনি মাদরাসার প্রাথমিক স্তর ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে বিষয়টিতে দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে সেই বিষয়ে দৃষ্টি এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এজন্য কয়েকটি জায়গায় পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়। পরবর্তীতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়েই এই কার্যক্রম শুরু করার জন্য নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিসভায় পাঠনো হয়।
গত মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তবে এই নীতিমালায় মাদরাসা শিক্ষা ধারার প্রাথমিক স্তর ইবতেদায়ীর শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। একই স্তরের দুটি ধারার শিক্ষার্থীদের জন্য নেয়া হয় বৈষম্যমূলক এই উদ্যোগ। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একক ও সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতি প্রদান করে। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়লে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্যও দ্রুত দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন।
একই সাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন কোনটি আগে, কোনটি পরে যেন না হয়, বরং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীর সকল শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে একই সাথে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর থেকেই কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাদরাসা শিক্ষা বিশেষ করে ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই আন্তরিকতা ও উদ্যোগকে অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবেই মনে করছেন এই ধারার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।