গার্মেন্টস ও শিল্প মালিকদের শ্রমবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেছেন, আমাদের পরিবারেও অনেক ঝামেলা তৈরি হয়। আমরা নিজেরাই তো সেইগুলোর সমাধান করি। শিল্প-কারখানাও এর ব্যতিক্রম না।

এখানেও নানা সময়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। সমস্যা আসে মিড লেভেল (মধ্যবিত্ত) থেকে, তবে কোনো সমস্যাই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শিল্পের প্রসার ঘটাতে হলে অবশ্যই এই মিড লেভেলকে শোধরাতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএম ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সরবরাহ প্রক্রিয়ায় শ্রমের নৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মিড লেভেল শুধরানোর পাশাপাশি মালিকদেরও শ্রমবান্ধব হতে হবে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। আমাদের এই বিষয়টি তাই খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিৎ। পোশাক খাতে কিছু সমস্যা আছে। তবে পরিমাণ ও গুণ বিচারে এটা খুবই সামান্য। তবে এই ক্ষেত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে। এজন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের শ্রমিকদের জন্য সেরাটা করতে চাই। এজন্য সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।

রুবানা হক বলেন, এদেশ যেমন আমার, এশিল্পও আমার। আমার পরিবারের একটা অংশ আমার শিল্প। শ্রমিককে নিজের করে ভাবতে হবে, তার সমস্যার কথা শুনে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিবারের মতো কারখানাতে মাঝে মাঝে সমস্যা তৈরি হয়, যার সমাধান নিজেকেই করতে হবে। ভাবতে হবে একজন শ্রমিক আমার পরিবারেরই অংশ। কারখানার সমস্যা সাধারণত মিড লেভেল থেকে, তাই কারখানার প্রসার ঘটাতে চাইলে আগে এই মিড লেভেল শোধরাতে হবে।

অনুষ্ঠানে ‘দ্য বিজনেস কেস ফর টেকিং অ্যাকশন টুওয়ার্ডস এথিকাল লেবার প্র্যাকটিস’ ও ‘দ্য রোল অফ ইন্টারন্যাশনাল পলিসিস, রেগুলেশন্স অ্যান্ড কোড অব কন্ডাক্ট ইন বিজনেস গ্রোথ’ নামে আরও দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন, আইওএম বাংলাদেশ অফিসের সহকারী মিশন প্রধান ডিমাঞ্চ শ্যারন, বিআইবিএফ এর সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, আসিফ ইব্রাহিম, চামরাজাত পণ্য, জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইএমও-এর লেবার মবিলিটি ও হিউম্যান ডেভলপমেন্টের প্রধান মারিনা মানকি প্রমুখ।