পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা থেকেই বছর পূর্ণ হয়ে এসেছে বারো মাসে। তবে স্বীকৃত কোন ইসলামী ক্যালেন্ডার ছিল না। কোন সুনির্দিষ্ট সন তারিখের প্রয়োজনে অবিস্মরণীয় কোন ঘটনাপঞ্জীর আশ্রয় নেয়া হতো। সেসব হতো কোন যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, আসমানী ঘটনা বা অথবা অন্য কোন কিছু। প্রাক ইসলামী যুগে আরবে ঈসা (আ.)-এর জন্মসাল কেন্দ্রিক ঈসায়ী সন চালু ছিল। ৬২২ ঈসায়ী সালে মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মাদীনায় হিজরাত করেন। মাদীনা সেসময় ইয়াসরিব নামে অভিহিত ছিল।
আমিরুল মুমিনী উমার বিন খাত্তাব (খিলাফাতকাল ৬৩৪-৬৪৪ খ্রিঃ) প্রদেশগুলোতে গভর্নরদের কাছে যেসব জরুরি রাষ্ট্রীয় পত্র পাঠাতেন তাতে সন উল্লেখ না থাকায় মিসরের গভর্নর আমর বিন আল-আস (রা.) এ সংক্রান্ত জটিলতার কথা খলীফাতুল মুসলিমীনকে অবহিত করেন। তখন উমার (রা.) সাহাবাগণের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পরামর্মে মহানবী (সা.)-এর জন্ম-মৃত্যু সাল থেকে সন ধরার কথা উঠলেও ইসলামের বিজয়ের সবচেয়ে যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে হিজরতকে ইসলামী সালের প্রথম সাল গণ্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে উমার (রা.)-এর বক্তব্য ছিল, হিজরাত সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য সাধন করেছে। সুতরাং তা থেকে সন তারিখ নির্ধারণ করো। তাতে তারা হিজরাত থেকেই সন-তারিখ নির্ধারণ করে নিলেন এবং সকলেই তাতে একমত হলেন। হজ পালনকে বছরের শেষ শ্রেষ্ঠ পূর্ণকর্ম ধরে পরবর্তী মাস মুহাররামকে বছরের প্রথম মাস গণনা করা শুরু হলো। আত-তারিখ লিত-তাবারী- ২/৩-৪ পৃ:
হিজরী সালের একটি বছর ১২টি চন্দ্র মাসের সমন্বয়ে হয়। চন্দ্র বছরে দিবস সংখ্যা ৩৫৪.৩৭। আর চন্দ্র মাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়। এর কমবেশি হয় না। হিজরী সালের মাসসমূহকে আশ-শুহুরুল হিলালিয়্যাহ) বলা হয়। চাঁদ কেন্দ্রিক মাসসমূহকে মহান আল্লাহ সময় নিরূপক করেছেন তার সুস্পষ্ট আয়াত নিম্নরূপ :
‘লোকেরা আপনার কাছে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলুন, এটা মানুষ এবং হজের জন্য সময় নির্দেশক। সূরা আল বাকারাহ, আয়াত : ১৮৯
এ সময় নির্ধারণ আরব-অনারব সবার জন্য চাঁদ কেন্দ্রিক হবে, চাঁদের উদয়ে মাস আসবে আর চাঁদের নিঃশেষে মাস যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।