পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে গত পাঁচ মাসে পুলিশকে লক্ষ্য করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েও ধরা পড়ছে না জড়িতরা। শুধু হামলা নয়, দুই পুলিশ বক্স এলাকায় বোমা রেখে গিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পুলিশের মনোবল ঘায়েল করতে আইএসের নাম ভাঙ্গিয়ে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলাগুলো চালাচ্ছে বলে অভিমত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। সর্বশেষ সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন পুলিশ আহত হন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার একটিও শনাক্ত বা জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ফলে একই ধরনের ঘটনার বার বার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আলোচিত এসব হামলার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব না হলে অপরাধীরা নানাভাবে ফায়দা হাসিল করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশের ওপর একাধিকবার ককটেল হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে প্রযুক্তিসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য বা কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
গুলিস্তান-মালিবাগে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রত্যেকটি ঘটনার বিষয়েই আমাদের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা নানাভাবে খতিয়ে দেখছেন। এরইমধ্যে এসব ঘটনার তদন্তে বলার মতো অগ্রগতি আছে, তবে তদন্তের স্বার্থে কিংবা জড়িতদের গ্রেফতারের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গুলিস্তানের বোমাটি টাইমার সেট করা এবং মালিবাগের বোমাটি রিমোট কন্ট্রোল আর পল্টন-খামারবাড়ির বোমা দুটি ছিলো পুঁতে রাখা। এর আগে, ২৯ এপ্রিল রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়া হয়। এতে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭), লিটন (৪২) ও কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৮) আহত হন। এ সময় গুলিস্তানের ডন প্লাজার সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশের দুই সদস্য। হঠাৎ একটি শক্তিশালী ককটেল তাদের সামনে পড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
রাজধানীর মালিবাগে গত ২৬ মে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। মালিবাগে বোমা হামলার ঘটনায়ও ট্টাফিক পুলিশের এএসআই রাশেদা আক্তার বাবলী (২৮) ও রিকশাচালক লাল মিয়া (৫৫) আহত হন। এ ছাড়া ২৩ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন মোড় ও খামাড়বাড়ি পুলিশ বক্সের কাছে ফেলে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনার পর দায় স্বীকার করে আইএসের নামে বিবৃতি দেয়া হয়। জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আইএস’ এর পরিচয় দিয়ে এই তিনটি হামলার দায় স্বীকার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএস নয়, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য আইএসের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবহার করছে জড়িতরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।