Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাসিংয়ের নামে আনা হলো উচ্চ শুল্কের প্লাস্টিক পণ্য

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

আমদানি ডকুমেন্টে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনীত আরেকটি চালান আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঁচ কন্টেইনার পণ্যভর্তি এ চালান খালাস হয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই ধরা পড়ে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের হাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ক্যাসিংয়ের (কভার) নামে উক্ত চালানে আমদানি করা হয় উচ্চ শুল্ক-কর আরোপযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য। ক্যাসিংয়ের শুল্ক হার মাত্র এক শতাংশ। অথচ তৈরি প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয় ১৫৬ শতাংশ। কন্টেইনার ভর্তি পণ্যের ক্যাসিং হিসেবেই সংশ্লিষ্ট কাস্টমস-শাখা থেকে শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়।

পরের ধাপ বাকি ছিল শুধুই শুল্ক মূল্য পরিশোধ করে পণ্য খালাস করে নেয়া। তবে খালাসের আগেভাগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তথ্যের ভিত্তিতে খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে পুরো চালানটি আটকে দেয়া হয়। মিথ্যা ঘোষণায় বিরাট শুল্ক-করের তারতম্যের কারণে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হচ্ছিল।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাপল হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. ক্যাসিং ঘোষণা দিয়ে ৫ কন্টেইনার প্লাস্টিক পণ্য বন্দরে নিয়ে আসে। চালান খালাসে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের এ হামিদ অ্যান্ড কোং লি.। চীন থেকে আনীত চালানটি খালাসে গত ২১ আগস্ট কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (বিই) দাখিল করা হয় (নম্বর-১৩৩৯৪৮৬)।

ক্যাসিং হিসাবে আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর আসে ৩৬ লাখ ১০ হাজার ৫০৭ টাকা। সংশ্লিষ্ট সেকশনে গত ২৮ আগস্ট উক্ত পণ্যের শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়। এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চালানটি লক করে দেয়ার পর খালাসের সুযোগ নেই। আনীত পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এরআগেও চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় কয়েক দফায় আমদানি চালান ধরা পড়ে কাস্টমসের পরীক্ষায়। তাছাড়া সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমেও পণ্য খালাসের আগে আটকের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এ ধরনের কিছু ঘটনার তদন্তও হচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণায় ও জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী আমদানির পেছনে তৎপর রয়েছে কতিপয় বন্দর-কাস্টমস-সিঅ্যান্ডএফ, আমদানিকারক-ব্যবসায়ীর অসৎ সিন্ডিকেট। এতে করে সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্বহানি ঘটছে। অবশ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যে কোনো পথে শুল্ক-কর ফাঁকিরোধে আগের তুলনায় এখন অনেক তৎপর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ