পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিক্ষাকে আমরা অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করে ফেলেছি, এটা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করলে পরে শিক্ষার মানের অবনতি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষাকে রাজনীতিকরণ থেকে দূরে রাখতে হবে। না হয় সত্যিকারের আলো বিকিরণ বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি শুক্রবার সিলেট শহরতলির সোনাতলায় সিরাজুল ইসলাম আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা মুহা. হাফীজুর রহমানের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহা. হাফীজুর রহমান বিদায়ী অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানীদের সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানার্জনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ আদম (আ.) কে বিশ্বমন্ডলের সকল জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি করে ফেরেসতাদের সেজদা করার নির্দেশ দেন। এর অর্থ হচ্ছে, জ্ঞানীদেরকে সম্মান করা। জ্ঞানী বা শিক্ষকদের সম্মান করা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাকই আমাদের শিখিয়েছেন। আজ তেমনি এক জ্ঞানীকে সম্মান জানালেন তার ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
প্রিন্সিপাল হাফীজুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন আলোর ফেরিওয়ালা। ৪০ বছর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। যিনি একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থাকেন, সেই প্রতিষ্ঠানে আলো বিকিরণ করে। কারণ তারা শিক্ষার তরে জীবন উৎসর্গ করেন, কমিটেড থাকেন। তারা কেবল শিক্ষা ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে এলাকাবাসী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা প্রমাণ করে মাওলানা হাফীজুর রহমান কতটা সফল। তিনি একজন মুখলিস, আল্লাহ ওয়ালা, খোদাভীরু, তাক্বওয়া সম্পন্ন মানুষ। আলোকিত শিক্ষকের শিক্ষার্থীরা আজ সারা পৃথিবীতে আলো ছড়াচ্ছে।
মাদরাসা গভর্নিং বডির সভাপতি প্রিন্সিপাল সুজাত আলী রফিকের সভাপতিত্বে এবং অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মুহাম্মদ আজির উদ্দিন পাশা, সাংবাদিক ওলিউর রহমান ও মো. শরীফ উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিদায়ী অনুষ্ঠান ও দু’আ মাহফিলে বিশেষ অতিথির আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসলাম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া মমতাজ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিরাজি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।