পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একি শোনালেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল! সরকারি অফিসের মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে জামালপুরের ওএসডি হওয়া ডিসির অপ্রীতিকর কান্ড প্রকাশ করা উচিত হয়নি? নারী নেত্রী সুলতানা কামাল ওএসডি হাওয়া জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের পক্ষ নিয়ে বললেন, জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় সংঘটিত ঘটনায় কারো দোষ থাকলে বিচার প্রত্যাশিত। কিন্তু ওই ভিডিওটি যারা ছড়িয়েছেন তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করেছেন। গতকাল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামালপুরের ওই সাবেক ডিসির সঙ্গে মহিলা অফিস কর্মীর শ্লীলতাহানিকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, এখানে আমাদের যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, পারস্পরিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হবে। সেটা যখন হয় না, সেটা তখন নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, নারীও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে, পুরুষও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, এখানে (ভিডিওর ঘটনা) যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে যে, কেউ একজন আসলেই দোষ করেছেন; সেই দোষের বিচারটা যেন হয়। যারা এটাকে ভাইরাল করেছে, খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি কিন্তু সংযমী হন।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, কতখানি সে করতে পারে, কতখানি সে করতে পারে না; কার প্রাইভেসিতে যুক্ত করতে পারে আর কতটুকু পারে না সেটাও। দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই মানবাধীকার কর্মী।
সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হতে হবে মূল্যবোধের ভিত্তিতে। সা¤প্রতিক সময়ে দেশে নারী নির্যাতন ভয়াবহ পর্যায়ে বেড়ে গেছে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার যারা হন, তাদের পরিবর্তে নির্যাতনকারীরা আইনের আশ্রয় পান। তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। নীরব থাকলে নির্যাতন আরো বাড়বে। আমাদের মনে রাখতে হবে- প্রতিবাদহীন সমাজ কখনও সামনে এগোতে পারে না। প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্বশীল হতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযেগিতায় সরকারি মাদরাসা-ই আলিয়া ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ অংশ নেয়। বিতর্ক শেষে লালমাটিয়া মহিলা কলেজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।