পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য চার লেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়িত হলে পরবর্তী চার বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড রক্ষণাবেক্ষণ ও পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সড়কটির পূর্ণ উপযোগিতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপদ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় এটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে উন্নত, নিরাপদ, টেকসই ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১০ জুন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি হতে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২ জুলাই মহাসড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ সামাল দিতেও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মহাসড়কটির বিভিন্ন অংশ নির্মাণ শেষ হওয়ার সঙ্গে ২০১৩ সাল হতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ রক্ষাকারী জাতীয় অর্থনীতির লাইফলাইন এ মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাত্রারিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল করছে। ক্রমবর্ধমান পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য মহাসড়কটির পূর্ণ উপযোগিতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা প্রয়োজন। অধিক সংখ্যক এবং অননুমোদিত ভারবাহী যান চলাচলের কারণে মহাসড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত ভারবহনকারী যান চলাচলের জন্য সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষা করতে মহাসড়কটি প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক এর পরবর্তী ৫ বছরের জন্য পারফরমেন্স-বেজড রক্ষণাবেক্ষণ ও পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৯৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটির অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণে সম্মতির জন্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পটি নেয়ার যৌক্তিকতা নিরুপণের জন্য ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধানের নেতৃত্বে বুয়েটের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রতিবেদন পেশ করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ওপর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সুপারিশ অনুযায়ী সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে মহাসড়কটির কোর কাটিং পরীক্ষা করে কমিটির প্রতিবেদন চলতি বছরের ৭ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সড়ক পরিবহন আগের প্রকল্প প্রস্তাবের পরিবর্তে ৫০০ কোটি ৬২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবর হতে ২০২২ সালের জুনে চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ৪ বছরের জন্য পারফরমেন্স বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর চলতি বছরের ১০ জুন পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সড়ক পরিবহন বিভাগ গঠিত কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন ও প্রাপ্ত ডিপিপি পর্যালোচনা করা হয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ৭৭ হাজার ৮৯০ দশমিক ৬৮ ঘন মিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ৩৭ দশমিক ৭১৯ লাখ বর্গমিটার ট্র্যাক কোট, ১ দশমিক ৮৬৮ লাখ ঘন মিটার ওয়ারিং কোর্স, ১ দশমিক ২১৯ লাখ বর্গমিটার রোড মার্কিং, ১৪ দশমিক ৩২৩ লাখ বর্গমিটার রাট কারেকশন বাই মিলিং মেশিন, ১৬০০টি সাইন পোস্ট এবং একটি স্টিলের ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।