হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। তিন বিচারপতি হলেন- সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। গতকাল শনিবার টেলিফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান। তবে কবে থেকে তাদের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করেননি।

গত ২২ আগস্ট প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করেন। ওইদিনই তারা ছুটি চেয়েছেন-মর্মে জানান ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে তখন জানানো হয়, তিন বিচারপতির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কিন্তু কেন কোন বিষয়ে তাদের অনুসন্ধান চলছে তা নিশ্চিত করেনি তিনি। সুপ্রিম কোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) অন্য সব বিচারপতিদের নাম ও বেঞ্চ নম্বর উল্লেখ থাকলেও তিন বিচারপতির নাম ওইদিনের তালিকায় রাখা হয়নি।

এর আগে গত ১৬ মে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিম্ন আদালতের মামলায় হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি পাল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে। ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ-সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি জারির মাধ্যমে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ রায় পাল্টে দেন-মর্মে আপিল বিভাগে অভিযোগ তোলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট অর্থঋণ আদালতের দেয়ার মামলাটির সব ডিক্রি ও আদেশ বাতিল করেন। তবে এ অভিযোগে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। একইভাবে বিচারপতি কাজী রেজা উল হকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়েও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করে তিন বিচারপতিকে বিচারিক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এরপর তাদের ছুটি মঞ্জুর করা হলো।