পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিগত অর্থবছরের মঞ্জুরি আদেশ নম্বর কপি-পেস্ট করে পরবর্তী অর্থবছরে আদেশ জারি করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ব্যয়ে অডিট আপত্তি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয় ও হিসাব রক্ষণ অফিসের নজর এড়িয়ে পুরো একটি অর্থবছরের ব্যয় নির্বাহ হয়েছে। ফলে পুরো অর্থবছরের ব্যয়ের ওপর অডিট আপত্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, ছোট মনির, নাজমা আক্তার, শামীমা আক্তার খানম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ।
কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের অডিট আপত্তির তথ্য চেয়েছিলাম। তারা উপস্থাপন করেছে। আমরা অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তি দ্রত নিষ্পত্তির অনুশাসন দিয়েছি। কারণ, অডিট আপত্তি হলে মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তাদের কম্পিউটারে সফটকপি আকারে রক্ষিত পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) মঞ্জুরি আদেশ কপি করে পরবর্তী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বিভাজন ও অর্থ ছাড়ের মঞ্জুরি আদেশ জারি করা হয়। এই ভুল আদেশটির বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোনো আপত্তি না হওয়ায় এবং বিল যথাযথভাবে প্রদান করায় মঞ্জুরি নম্বর পরিবর্তনের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসেনি।
সংসদীয় কমিটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ১৯৭২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব অডিট আপত্তির তথ্য উপস্থাপন করেছে। এতে বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার ৩২৬টি অডিট আপত্তি হয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশ অনিষ্পন্ন রয়েছে। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের উন্নয়ন খাতের বাজেটে ৬২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মঞ্জুরি নম্বর ৪০-এর পরিবর্তে অনিয়মিতভাবে মঞ্জুরি নম্বর ৩৯ হতে ছাড় করায় পুরো টাকার অডিট আপত্তি হয়েছে। অর্থ বিভাগের প্রকাশিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বইয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি নম্বর ছিল ৩৯। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ মঞ্জুরি নম্বর পরিবর্তন করে ৪০ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু আগের অর্থবছরের মঞ্জুরি আদেশ নম্বর ব্যবহার করে এ অর্থবছরের বিভাজন ও অর্থ ছাড়ের আদেশ জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের পুরো টাকা ব্যয় করেছে। যার কারণে অডিট আপত্তি হয়েছে। এ ভুলটিতে অনিচ্ছাকৃত ও এতে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি বা অপচয় হয়নি বলে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটিকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। মঞ্জুরি আদেশের এ ভুলের বিষয়টি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের অডিট টিমের পর্যবেক্ষণে উঠে আসায় মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঞ্জুরি আদেশ পরিবর্তনের একটি সংশোধনী আদেশ এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই অডিট আপত্তিটি নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।