পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুলল্লাহ আল-গালিব বলেছেন, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের শাশ্বত বিধানের প্রতি আনুগত্যের মস্তক অবনত করা। আজ মুসলিম উম্মাহ যে বিপর্যয় ও অধঃপতনের মধ্যে অতিক্রম করছে তার পিছনে মৌলিক কারণ হল ইলাহী বিধান থেকে দূরে সরে যাওয়া।
গতকাল দুপুরে নগরীর নওদাপাড়ায় আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের বিশুদ্ধ দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়া এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহŸান জানান।
দু’দিনব্যাপী কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা ছফীউলাহ, অধ্যাপক রফীকুল ইসলাম, অধ্যাপক জালালুদ্দীন, ‘বাংলাদেশ আহলে হাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, আহলে হাদীছ ওলামা ও ইমাম সমিতির সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, আহলে হাদীছ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. নূরুল ইসলাম, ‘সোনামণি’ পরিচালক আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মিগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মী সম্মেলনে ৮ দফা প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণের নিকট পেশ করেন। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ভূমিকাকে স্বাগত, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমূহের দাওয়াতী ও সামাজিক কর্মসূচি অবাধে পরিচালনার সুযোগ প্রদান, স্কুল-মাদরাসার সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি এবং ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর পরিচালনা কমিটিতে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর মনোনীত প্রতিনিধি রাখা, শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ১৮ বছর বয়সের ইসলামবিরোধী শর্ত এবং তালাকের ক্ষেত্রে ‘হিলা প্রথা’ বাতিল, মাদক প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছা বাস্তবায়নের সহযোগী হিসাবে মাদকমুক্ত রক্তদান সংগঠন ‘আল-আওন স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা’কে পৃষ্ঠপোষকতা দান, ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা বাতিল, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শালীন পোষাক ও পর্দাপ্রথা নিশ্চিত করা এবং মহিলাদের পর্দা পালনে বাধাসৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা, বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে টিভি-সিনেমা ও পত্র-পত্রিকা থেকে অশ্লীলতা ও বেলেল্লাপনা বন্ধ করা এবং ইন্টারনেট থেকে অশ্লীল কন্টেন্টসমূহ অপসারণ, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে এবং বিশুদ্ধ ইসলামের প্রচার-প্রসারে মাসিক আত-তাহরীক ও আত-তাহরীক অনলাইন টিভিসহ অন্যান্য সুস্থ গণমাধ্যমকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দান, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে সসম্মানে দেশে প্রত্যাবাসন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরী মুসলমানদের স্বাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার তীব্র নিন্দা, সেই সাথে ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের ৪৭ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বাস্তবায়নে জোর দাবি, ডেঙ্গু মহামারীর ক্রমাগত ব্যাপকতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও টেস্টিং কিট্স সারা দেশে ব্যাপকভাবে ফ্রি সরবরাহের দাবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।