Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সহজ করতে নতুন কমিশনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরিবর্তে গঠিত হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশন বা এনটিএসসি।

বিসিএস ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দানে কাজ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সেটার আদলেই বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে এ কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহাম্মেদ। অতিরিক্ত সচিব বলেন, মূলত বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো বড় পরিসরে স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় এ কার্যক্রম চলছে।

প্রাথমিকভাবে এনটিএসসি প্রোগ্রাম আকারে বছর দুয়েক কাজ করবে। এর মধ্যে আইন তৈরি ও সেটি পাস হবে। পাশাপাশি জনবল কাঠামো তৈরি করতে হবে। অফিস তৈরি করতে হবে। এসব মিলিয়ে ন্যূনতম দুই বছর সময় লাগবে। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দুই বছর এভাবে কাজ চলবে। সব কিছু হয়ে গেলে কমিশনের পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হবে।

জাবেদ আহাম্মেদ বলেন, দুই বছর প্রোগ্রাম আকারে চলার পর এটি এনটিআরসিএ-এর পরিবর্তে পুরোপুরি এনটিএসসি হয়ে যাবে। আরো বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ হবে তখন। এ ক্ষেত্রে আরো দক্ষ জনবল পাওয়া যাবে। আরো দক্ষতার সঙ্গে তারা কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে। নানারকম পরিধি বাড়বে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করবে এ কমিশন। এর মাধ্যমে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ২০১০ সালে সরকারের এডুকেশন পলিসিতে সন্নিবেশ করা হয়। কিন্তু নানা কারণে এটি কার্যকর হয়নি। এ কমিশনের সর্বোচ্চ পদটি হবে সাংবিধানিক পদ। তবে এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। আগামী মাসে এর কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ গঠিত হয়। এটি ছিল প্রার্থীদের প্রাক-যোগ্যতার সনদ। এর আগে বেসরকারি স্কুলশিক্ষক নিয়োগে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির হাতে। পরে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ২০১৫ সাল থেকে এন্ট্রি-লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এনটিআরসিএকে। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।



 

Show all comments
  • Almas mia ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    খুব ভাল সিদ্ধান্তনিয়েছেন৷ ধন্যবাদ জানাই শিক্ষা মন্ত্রনালয় কে। সেই সাথে জাল সনদ দিয়ে যারা চাকুরীকরতেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হউক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ