পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান ও আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এই সংবর্ধনা দেয় দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামানের সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান বলেন, এখানে আমাকে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি নিজেকে গুণীজন মনে করি না। নিজেকে সাবেক আমলাতন্ত্রের লোক মনে করি। তবে আমার কর্মজীবন ও চলার পথে অনেক গুণীজনের সংস্পর্শে এসেছি। এটা আমার সৌভাগ্য।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু স্মরণীয় সময় থাকে। সারা জীবন আমি আজকের এই সন্ধ্যাটিকে ধারণ করে রাখব। মুহিত ভাইয়ের সাথে প্রথমে আমার একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তবে পরে আবার আমাদের সম্পর্ক ভালো হয়েছে। মুহিত ভাইয়ের চকলেট খুব প্রিয়। উনাকে চকলেট দেয়া যায়। চকলেট দিয়েও উনার মন জয় করা যায়। সাবেক অর্থমন্ত্রীর রেখে যাওয়া কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানিয়ে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, মুহিত ভাইয়ের রেখে যাওয়া কাজ আমি শেষ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে গেছেন। এই যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্ণধার আবুল মাল আবদুল মুহিত। আমার বিশ্বাস সে লক্ষ্যে আমরা অবশ্যই একদিন পৌঁছাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইদুজ্জামানের কর্মময় জীবনের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। পরে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় দু’জনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয় একটি পোর্ট্রেট। বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের এ উদ্যোগের জন্য তারা কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১২ বার বাজেট পেশ করে দেশের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি লেখক, গবেষক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিক হিসেবেও প্রশংসিত। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ও পরিকল্পনায় গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।
এম সাইদুজ্জামান ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধান অর্থ সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়বিষয়ক প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ছিলেন। তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক এম আনিসুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম প্রমুখ।
উল্লেখ, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের সংবর্ধনা দিয়ে আসছে বণিক বার্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।