Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের উন্নয়ন সরকারের একমাত্র লক্ষ্য -প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৬:২৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের একমাত্র লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। দেশের উন্নয়ন কাজ চালিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের সময়মত ট্যাক্স দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজ এখন নিজেদের বাজেটে হচ্ছে। উন্নয়ন করবো, কিন্তু কারও কাছে হাত পাততে পারবো না। তাই আপনাদের ট্যাক্স ঠিকমতো দিতে হবে। আজ শনিবার বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদে দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের (বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি একইসাথে চিটাগাং চেম্বারের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। রাজস্ব হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হচ্ছে। সরকারের একমাত্র লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রামের এসব উন্নয়ন ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। চট্টগ্রামের জন্য সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ম্যুরাল, কদমতলী ফ্লাইওভার, বাইপাস সড়ক এবং আউটার রিং রোডের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

যেকোনো ত্যাগে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

দেশের স্বার্থে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই ত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ্য দেশপ্রেমিক কমান্ডিং অফিসার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার অপরাহ্ণে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রেজিমেন্টাল কমান্ডারদের সম্মেলন এবং নবম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার একটি সক্ষম ও আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যেন তারা মাথা উঁচু করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সকল দায়িত্ব পালন করতে পারে। তিনি বলেন, জাতির যেকোনো প্রয়োজনে, যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে বলে আমি আশা করি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সেজন্য আমি আপনাদের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠায় সন্তুষ্ট। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার পরিবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ তার দুই ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও শহীদ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের অফিসার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে এ রেজিমেন্টের ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটালিয়ন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেজিমেন্টের সকল ইউনিটের সদস্যদের তাদের ইউনিফর্মের কলারে লাল রঙের পাইপিং পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও অষ্টম ইউনিটের সদস্যদের জন্য এটি একটি গর্বের বিষয়। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের অংশ এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই বাহিনীর প্রধান অঙ্গ। রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য জাতি গঠন কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। কেবল দেশেই নয়, তারা দেশের বাইরেও সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিকেল সোয়া ৪টায় নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকা ও কুয়াইশের সংযোগ সড়কে স্থাপিত মঞ্চ থেকে সুইচ টিপে প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী অক্সিজেন থেকে কাপ্তাই রাস্তা পর্যন্ত সিডিএ নির্মিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও বঙ্গবন্ধুর দেশের সর্বোচ্চ ম্যুরাল, কদমতলী ফ্লাইওভার ও বাইপাস সড়ক এবং চট্টগ্রাম আউটার রিং রোডের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। তিনি লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ফিরে যাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ