Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাটা পা নিয়ে যন্ত্রণায় কাতর

বাংলামোটরে নারীর ওপরে ট্রাস্টের বাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজধানীর বাংলামোটরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রায় (৫২) পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ঘটনার পর দুদিন পার হলেও ঘাতক চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ চালক ও হেলপারকে ধরতে সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলামোটরে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফুটপাথে উঠে কৃষ্ণা রায় (৫২) নামের ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে তার পা মারাত্মকভবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল ও পরে পঙ্গুতে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার বাম পা কেটে ফেলেন। কৃষ্ণা রায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ বিভাগ) হিসেবে কর্মরত। এক মেয়ে ও এক ছেলের এই জননী পরিবারের সাথে রাজধানীর টিকাটুলী এলাকায় থাকেন। তার স্বামীর নাম রাধে সেন। দুর্ঘটনার পর বাস ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণা রায়। আর বাইরে বের হওয়াটাই তার জন্য কাল হলো। বাসে কাটা পড়ে একটি পা হারিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নিয়ে গেলে অপারেশন করে তার বাম পা কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।
স্বজনরা জানান, ৩০ বছর ধরে তিনি চাকরি করছেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। ছেলে-মেয়ে দুজনই স্নাতক পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন। তার স্বামী গত দুই বছর আগে অবসর যাওয়ায় বর্তমানে তিনি বাসায় থাকেন। বাস চাপায় নিজের পা হারিয়ে পঙ্গু হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ৪৭ নম্বর বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছেন।
চিকিৎসাধীন কৃষ্ণা রায় আক্ষেপ করে বলেন, পা হারিয়ে সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। আমার জীবনের সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। আর কখনও অফিসে যেতে পারবো না। বাকি জীবন আমি কীভাবে কাটাব, কীভাবে চলাফেরা করব? এসব বলতে বলতে কান্না শুরু করেন। মায়ের পাশে থাকা ছেলে কৌশিক রায় বলেন, আমরা কোনো স্থানে নিরাপদ নই। পথচারীর চলাচলের স্থান ফুটপাথ দিয়ে হাঁটলেও দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এতকিছু ঘটলেও কেউ যেন দেখার নেই বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তেজগাঁও থানা সূত্র জানায়, ঘাতক চালককে আটক করতে সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাকে ধরা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ