পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সব টেলিভিশন চ্যানেলের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, সকল টেলিভিশন চ্যানেল পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। গতকাল সকালে তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (এটিসিও) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আগে কেবলমাত্র একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল বিটিভি। আমরা ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর এটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি (বেসরকারি খাতে)। তিনি বলেন, তার সরকার সংবাদ প্রচারেও স্বাধীনতা দিয়েছে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন (এটিসিও) নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
কেবল টিভি সম্প্রচার কার্যক্রম ডিজিটাইজেশনের আওতায় এনে সব চ্যানেলকে পে-চ্যানেলে রূপাপন্তর করাসহ বিভিন্ন দাবিও এ সময় উপস্থাপন করেন তারা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী সালমান এফ রহমান এবং তথ্য সচিব আব্দুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে এটিসিও চেয়ারম্যান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী, ডিবিসি চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একাত্তর টিভির এডিটর ইন চিফ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামগুলো সাজাতে হবে
এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স সংলগ্ন ‘জমি অধিগ্রহণ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রত্যক্ষকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে সব গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দেশের সব গ্রামকে সুন্দরভাবে সাজাতে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল উপজেলা পর্যায়ে নয়, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি সব গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আবাদি জমি রক্ষার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীতে তার কার্যালয়ে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয়। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান প্রকল্পটি উপস্থাপনা করেন।
দেশব্যাপী ৩৪৬৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে যে চলমান ‘জরুরি নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ চলছে, তার একটি অংশ হিসেবে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৮১টি মিউনিসিপ্যালিটিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির আওতায় সড়ক উন্নয়ন, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, খাল খনন, নদী তীর পুনর্নির্মাণ, পুকুর-খাল-বিল সংস্কার, সৌন্দর্য বর্ধন, বৃক্ষরোপণ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের পাশে বাতি স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকায় এলজিইডি গৃহীত কিছু জরুরি উন্নয়ন কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থার প্রশংসাও করেন। এই উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক (সম্পন্ন), টুঙ্গিপাড়া-পাটগাতি খালের সৌন্দর্য বর্ধন (সম্পন্ন), টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের পুকুরগুলোর সৌন্দর্য বর্ধন (সম্পন্ন), পাটগাতি কাঁচাবাজার (নির্মাণাধীন), টুঙ্গিপাড়া কাঁচাবাজার (সম্পন্ন) এবং প্রস্তাবিত বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ, গোরস্থানের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন, শেখ রাসেল শিশু পার্কের বিপরীত পাশে টুঙ্গিপাড়া বাজার মসজিদের পুনর্নির্মাণ (প্রস্তাবিত) এবং টুঙ্গিপাড়া নতুন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।