পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাক টার্মিনাল হচ্ছে। মংলা বন্দর এলাকায় এই টার্মিনাল নির্মিত হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চলতি মাসেই ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) অনুমোদন হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এছাড়া মংলা বন্দরে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটর বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, রণজিৎ কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১৮ হাজার ৫৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) খরচ করবে ৯ হাজার ৬১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং সড়ক বিভাগ খরচ করবে ৮ হাজার ৯৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বন্দর কর্তৃপক্ষের খরচের অংশের মধ্যে নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে ২ হাজার ৫৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) দেবে ৭ হাজার ৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক বিভাগের ব্যয়ের বড় অংশও জাইকা দেবে।
মাতারবাড়ী বন্দরের গভীরতা হবে ১৬ মিটার। এখানে ৮ হাজার টিইইউস ধারণক্ষমতার কন্টেইনার জাহাজ ও এক লাখ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতার কার্গো জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। ডিপিপি অনুসারে, প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৪৬০ ও ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দু’টি জেটি নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালে জেটি দু’টি চালু হবে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাক টার্মিনাল কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মংলা সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে এটি নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলায় এই ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে এই খরচ বহন হবে। কমপক্ষে এক হাজার ট্রাক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন টার্মিনালটির কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে। বৈঠকে উত্থাপিত মংলা বন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক ফজিলা খাতুন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বন্দরের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সমাপ্তকৃত প্রকল্প, অনুমোদিত প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মংলা বন্দরে ৪টি প্রকল্প শেষ হয়েছে।
বৈঠকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর (চ্যানেলের গুপ্তা বাঁকসহ) নাব্যতা সচল রাখার লক্ষ্যে নদীর তলদেশে জমাটকৃত পলিথিন অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মংলা বন্দরে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।