ভোক্তাদের অভিযোগ করার সুবিধার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে তিন মাসের মধ্যে হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে হটলাইন স্থাপন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের পর এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৫ অক্টোবর।
গতকাল শুনানির শুরুতে কল সেন্টার বিশেষজ্ঞ রাফসানজানি সামির কাছে হটলাইন চালুর খরচের বিষয়ে জানতে চান। সামি আদালতকে বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে মাসে সর্বসাকুল্যে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এ পর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শামীম আল মামুন বলেন, আমরা স্বাধীন কল সেন্টার স্থাপন করে হটলাইন চালু করতে চেয়েছি। এটা করতে খরচ বেশি লাগে।
তখন আদালত পরিচালককে বলেন, আপনারা ৫ জন মানুষ মিটিংয়ে বসলেন। অথচ আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি মাথায় এলো না। এটা কেমন কথা? এ সময় শামীম আল মামুন আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাকে ক্ষমা করে তিন মাসের মধ্যে ‘হটলাইন’ স্থাপনের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট ভোক্তাদের জরুরি অভিযোগ শুনতে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শামীম আল মামুনকে তলব করেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। তিনি বলেন, হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকার বাজেট চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, হটলাইন চালু করতে এত টাকা লাগবে? তাহলে তো এর ব্যাখ্যা জানা দরকার। তখন আদালত সংস্থাটির পরিচালককে তলব করেন। গত ১৬ জুন ভোক্তাদের খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে অভিযোগ শুনতে এবং অভিযোগ অনুসারে ব্যবস্থা নিতে ২ মাসের মধ্যে একটি হটলাইন চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেন আদালত। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাব-স্ট্যান্ডার্ড) পণ্য বাজার থেকে সরাতে করা এক রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেয়া হয়।