পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি সংখ্যালঘুদের ‘গণহত্যা’ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কয়েকটি পাহাড়ি ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি পাহাড়ের সমস্যা কোনো সামরিক সমস্যা নয় বরং রাজনৈতিক সমস্যা। সামরিকভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করা হলে তা সরকারের জন্য ভুল হবে।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাহাড়ে কয়েক দিন ধরে যেসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার বিচার, নীরব ‘গণহত্যা’ বন্ধ, যারা পাহাড়িদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করা এবং সেখানে ‘অবৈধভাবে’ যেসব সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা। তাদের অভিযোগ, সরকার বিভিন্ন উন্নয়নের নামে একপ্রকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার দেয়া হলেও সেখানে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এটা কোনো সামরিক সমস্যা নয়। সেখানে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক লোকদের দিয়ে খুন-গুম চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার যদি খুন-গুমের মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে চায় তাহলে আমরা বলব সরকার নিতান্তই ভুল করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যাকে যারা পাশ কাটিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে নিরীহ নিরপরাধ লোকদের খুন করছে সে জবাব তাদের একদিন দিতে হবে।’
পাহাড়ি সংগঠন ‘হিল উইমেন ফেডারেশনের’ সভাপতি নীরুপা চাকমা বলেন, ‘গতকাল ইউডিএফের এক কর্মীকে সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধের নাম দিয়ে ধরে নিয়ে মারধর এবং হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ড অনেক আগে থেকেই করছে তারা। সেখানে যারা নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য মারধর করে হত্যা করা হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।