Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের ভার পুরো বিশ্বকেই নিতে হবে

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রোহিঙ্গা সঙ্কটের ভার শুধুমাত্র বাংলাদেশ বহন করবে না, এই ভার পুরো বিশ্বকেই নিতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’-শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, অ্যাকশন এইড ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড স্টাডিজ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের ভার শুধুমাত্র বাংলাদেশ বহন করবে না, এই ভার পুরো বিশ্বকেই নিতে হবে। জাতিসংঘ এ সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফনটেইন বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কানাডা সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া প্যাসিফিক) মাহবুব উজ জামান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক মানজুর হাসান, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন, জাপান ও ভারতকে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে একটি বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও কূটনীতিকরা এ আহ্বানন জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদের নতুন একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় সেখানে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিয়ানমার মনে করে তাদের পকেট তিনটি দেশ- চীন, জাপান এবং ভারত রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য এ দেশগুলোর সঙ্গে আরও কৌশলগত পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত হওয়া দরকার।

প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে দুটি কাজ করতে হবে। তা হলো- বিদ্যমান আইনের সংশোধন এবং রাখাইনে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করে চীন, জাপান এবং ভারত থেকে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা। তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগতভাবে এবং ভূ-রাজনৈতিক ফ্রন্টে আরও গভীরভাবে কাজ করার জন্য পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে কারা বিনিয়োগ করছেন, কারা নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন এবং মিয়ানমারের সঙ্গে লাভজনক ব্যবসা করছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরকে বিশ্বব্যাপী অধিকার সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার। বিশ্বকে জানানো দরকার যে, তারা গণহত্যা করেছে এমন একটি দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে? তিনি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গায়ক, কবি, নাগরিক সমাজের সদস্যদের রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ