পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে যেতে না চাওয়ায় চিকিৎসকদের প্রতি আবারও ক্ষোভ, বিরক্তি ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ অভিব্যক্তির কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
একনেক সভায় ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মানিকগঞ্জ’ প্রকল্পের প্রসঙ্গ আসলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, সেখানেও চিকিৎসকরা যেতে চান না।
সভায় বলা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার আমরা দিই, কিন্তু ডাক্তার যেতে চায় না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা তো আমাদের চেষ্টা করতে হবে মিটমাট করার জন্য। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, ডাক্তাররা যেখানে চাকরি করেন, সেখানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করলে তবুও হয়তো কিছুটা ভালো হতো। যখন চাকরি করেন এক জায়গায়, প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন আরেক জায়গায় বা পার্টটাইম পড়ান আরেক জায়গায়, তখন তারা হাসপাতালে থাকতে পারেন না। এইগুলা দুঃখের সঙ্গে, বিরক্তির সঙ্গে, ক্ষোভের সঙ্গে, অভিমানের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী এর আগেও কথাগুলো বলেছিলেন, আজকে আবার পুনরাবৃত্তি করেছেন বলেও মন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ড্রেন ওয়াটার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। নিজেরা করেন, বাড়ির আশপাশে খাল-বিল, পুকুর থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করে তাতে পানি সংরক্ষণ করেন। কাজে লাগবে। বিশেষ করে আগুন লাগলে দমকলরা পানি পায় না। এটা খুব বেশি দরকার।’
শ্রমিক, চালক, হেলপারদের প্রতি মানবিক সুবিধা, সহযোগী হওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে সব জায়গায় গাছপালা রাখার বিধান রাখতে হবে।’
ওভারলোডিংয়ের (মাত্রাতিরিক্ত চাপ) বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে গ্রোয়িং ইকোনমি, ওভারলোডিং হয়। ওভারলোডিং সম্পর্কে আমরা সচেতন। ওভারলোডিং কমানোর জেনারেল ইন্সট্রাকশন এসেছে যে, আপনারা যান, খোঁজ-খবর নেন। আমরা স্বীকার করি, গ্রোয়িং ইকোনমির এই পর্যায়ে ওভারলোডিং পুরোপুরি এভয়েড করতে পারব না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা হচ্ছে না, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না–সবকিছুই ওভারলোডিং। এগুলোকে সহ্য করে মনিটরিং করতে বলেছেন তিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।