পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের পর মেয়েকে হত্যার ঘটনায় পিবিআইয়ের কিংবা র্যাব দ্বারা তদন্তের আবেদন করেছেন নিহত কিশোরী রিমার মা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মা আঙ্গুরা খাতুন এ আবেদন জানান। এ সময় তার মামাও একই আবেদন জানান। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে প্রেমের জালে ফেলে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নম্বর ৮। মামলায় আসামিরা হলো- জাহিদ (২৫), পিয়াস, রুমান, রাজুসহ অজ্ঞাতনামা ৬ জন।
আঙ্গুরা খাতুন বলেন, আসামি পিয়াসকে র্যাবের একটি দল ২২ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। র্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিয়াস স্বীকার করে যে, স্মৃতি আক্তার রিমার সাথে সে প্রেমের ভান করে সম্পর্ক গড়ে তুলে। সে আরও স্বীকার করে ঘটনার দিন রাতে রিমাকে সুকৌশলে ডেকে প্রথমে নিজে ধর্ষণ করে, তারপর তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরকে দিয়ে ধর্ষণ করায়। আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতেও সে এসব কথা স্বীকার করেছে।
রিমার মা অভিযোগ করে বলেন, বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য বার বার অনুরোধ জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। আসামিরা কোথায় আছে সে বিষয়ে থানায় খবর দিতে বলা হয়। এছাড়া ঘটনার দিন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জেলা সদর হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক ডা. সজীব ঘোষের দেয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেন ধর্ষণের স্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি নাকি ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহে ব্যর্থ হন। আসামিদের পরিবার বিত্তশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় পিবিআই বা র্যাব দ্বারা তদন্ত করার আবেদন জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে রিমার ওপর মামা মুসলেম মিয়া এবং তার বড় ভাই মাসুদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।