পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্রকামী মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হিন্দু স¤প্রদায়ের ওপর বর্তমান সরকারের আমলে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি কিভাবে আমাদের হিন্দু স¤প্রদায়ের ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিভাবে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। সুশীল বাবু বলেছেন যে, ফেনীতে যাওয়ার পথে বৌদ্ধ পুরোহিত অমৃতা নন্দ বিক্ষুকে হত্যা করে গোমতি নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাতে গুলশানে চেয়াপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ঘোরতর অমানিষা চলছে। মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নেয়া হয়েছে, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের যে প্রিয় স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতা চেতনা ছিলো যে চেতনায় আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই চেতনার সমস্ত বিষয়গুলো ধ্বংস করে দিয়েছে গণতন্ত্রকে হরণ করে দিয়ে। এই সরকারের আমলে একদিকে গণতান্ত্রিকামী মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে, অন্যদিকে ভিন্ন মতালম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে। আরেকদিকে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন তারাও নির্যাতিত হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থেকে যে আন্দোলন করছেন আজকে আমাদের সকলকে সেই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শরিক হতে হবে। সত্যিকার অর্থেই একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের শুরুটা করেছিলেন আমাদের দলের চেয়ারপারসন, ১৬ কোটি মানুষের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে এই সরকারের নির্যাতনের ফলে তিনি দীর্ঘ ১৬ মাস কারা অন্তরীণ হয়ে আছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের এই রাষ্ট্রের এক লাখের উপরে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র এই অপরাধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার অপরাধে। আমাদের ৫‘শ বেশি মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে নিখোঁজ হয়ে গেছে। সেখানে হিন্দু নেই, মুসলমান নেই, বৌদ্ধ নেই, খৃষ্টান নেই। একমাত্র তাদের অপরাধ তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপুর পরিচালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুন্ড, অপর্না রায় দাশ, জন গোমেজ, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, মিল্টন বৌদ্ধ, তরুন দে, সুশীল বড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী হরিপ্রমা নন্দ মহারাজ, ইসকনের দ্বিজমনি গৌরান্দ দাশ ব্রক্ষচারী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, গাজীপুর, নেত্রকোনা বরিশাল, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু স¤প্রদায়ের সদস্যরা অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।