Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যানের গাফলতি খুঁজে পায়নি কমিটি

নুসরাত হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ওই মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির তৎকালিন চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পি কে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তা বা গাফলতি রয়েছে দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেসবের সত্যতা মেলেনি। এমন তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবের করা তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদনে এনামুল করিমের অবহেলা না থাকার তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি জমা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এর আগে গত ১৫ জুলাই ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় তৎকালীন গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে পিকে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তদন্ত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান। প্রতিবেদনটির এক পর্যায়ে বলা হয়েছে, নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা জেল হাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পিকে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনসঙ্গত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরীত্য রয়েছে। পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পরিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের দেয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লিখিত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকে এনামুল করিম এর নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি-মর্মে দেয়া বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য ও যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়। এর আগে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান রাফি। ###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ