পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘সমতল ভ‚মিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- সুফলভোগী পরিবার নির্বাচন, নির্বাচিত খামারি পরিবারের মাঝে প্যাকেজভিত্তিক অনুদান বিতরণ, খন্ডকালীন ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ, এক লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৫ জন সুফলভোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ এবং ঘাস প্রদর্শনীর প্লট স্থাপন ও ঘাসচাষ স¤প্রসারণের জন্য বাজার সৃষ্টি করা।
প্রকল্পটি প্রাণিসম্পদের অব্যাহত উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রাণিজাত খাদ্য ও গোখাদ্যের ব্যবস্থাপনকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে সমতলের অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ এবং উন্নতজাতের ঘাস উৎপাদন-সংরক্ষণের ওপর প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সমতলের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে। তবে এর জন্য প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়ন দরকার।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতে প্রকল্প ম‚ল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এখন ডিপিপিটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় স‚ত্র জানায়, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বাঙালি হলেও তাদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র-নৃতাত্তি¡ক জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এই জাতিগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে তাদের স্বকীয়তা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এর ধারা ২ (১) এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী দেশে নৃতাত্তি¡ক জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৭টি। এদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশের বাস পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এবং বাকি ৫৮ শতাংশ সমতলে বাস করে। সমতলে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সাঁওতাল, ওরাও, বর্মন, খাসি, গারো ইত্যাদি অন্যতম। তবে এইসব জাতিগোষ্ঠী পাহাড়িদের তুলনায় একটু বেশিই বঞ্চিত। দারিদ্র ও অনগ্রসরতার কারণে তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী জীবনাচরণ থেকে বেরিয়ে আসছে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে এইসব জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের অব্যাহত উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই কর্মসংস্থান প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমতল অঞ্চলের অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনা, উন্নতজাতের ঘাস উৎপাদন ও সংরক্ষণে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে। ফলে টেকসই কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন এবং আমিষের চাহিদা প‚রণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ কারণে প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।