পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দালালরা সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়ে শুধু দেশের বাইরে পাঠিয়েই দিচ্ছে। এরপরে সে কোথায় গেছে, সেই খবর কেউ জানে না। মানুষ জমিজমা বিক্রি করে, সবকিছু বন্ধক রেখে দালালকে টাকা দিয়ে বিদেশ যায়। কিন্তু যাওয়ার পর সেখানে তাদের কোনো খবর থাকে না। দালালরা সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালদের মুখরোচক কথার ধোঁকাবাজিতে যেন কেউ না পড়ে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। এভাবে কোথাও গিয়ে যেন অকালে কেউ হারিয়ে না যায়। তাই এসব দালালদের ওপর নজরদারি বাড়ানো ও জনসচেতনামূলক প্রচারণা চালাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি-২০১৬-এর অধীন গঠিত অভিবাসন বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির ১ম সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, নান সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্তে¡ও দালালের কারণে তারা বিপদে পড়ে যায়। মানুষ যাতে ধোঁকাবাজিতে না পড়ে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা, তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদেরই। তিনি আরো বলেন, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা বন্ধে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হবে এবং একইসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে কেননা তারা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করার কাজ করে আসছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি, যাতে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনে বিনা জামানতে ঋণ নিয়ে মানুষ বিদেশ যেতে পারে। বিদেশ যেতে দালালের খপ্পরে যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর তারা কোথায় কী কাজ করতে যাচ্ছেন, তার একটা খবর নেয়া, যেন সঠিক কাজটা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা, যেখানে যে কাজে যাবে সেভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া, সে দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে জানানো, এসব করার চেষ্টা আমরা করছি।
তিনি বলেন, দালালরা সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়ে শুধু বাইরে পাঠিয়েই দিচ্ছে। মানুষ জমিজমা বিক্রি করে, সবকিছু বন্ধক রেখে দালালকে টাকা দিয়ে বাইরে যায়। কিন্তু যাওয়ার পর সেখানে তাদের কোনো খবর থাকে না। অনেক সময় তাদের কোনো কাজের ঠিকানাও থাকে না। অনেক সময় তাদের খবর নেয়ার কথা বলে আত্মীয়-স্বজনকে চাপ দিয়ে তাদের কাছ থেকেও টাকা নেয়। এই ধরনের অনিয়ম সারা বাংলাদেশে আছে। আমরা এ ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করছি জনগণকে বোঝাতে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আবার অনেক দেশে আমাদের মেয়েরা যায়। কিন্তু তারা কোন ধরনের কাজ করতে পারবে, সেসব তথ্য নেয়া হয় না; কী ধরনের কাজ করতে পারবে বা করবে এর জন্য ট্রেনিংও দেয়া হয় না। ফলে যে নারীরা যাচ্ছে, তারা কোনো কাজ করতে পারে না এবং সেখানে অত্যাচারেরও শিকার হয়। এগুলো বন্ধ করতে তাদের স্মার্টকার্ড করে দেয়া, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কে কোথায় কাজ নিয়ে যাচ্ছে সেগুলোর খবর রাখার কাজ করছি। সারা বাংলাদেশে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। এই সেন্টারের মাধ্যমে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা, এই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে তাদেরকে পাঠানো, সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের প্রায় একশ’টি দেশে অবস্থান করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। যা আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
যারা কাজের জন্য বিদেশ যাচ্ছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত সহযোগে একটি ডাটাবেজ প্রস্তুত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে নির্দেশ প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে তারা কোন কাজের জন্য কোন দেশে যাচ্ছে তার বিবরণ থাকতে হবে। বিদেশে গমনেচ্ছুকরা যে কাজের জন্য বিদেশে যাচ্ছে তার প্রশিক্ষণ এবং সে দেশের ভাষার ওপর দখল থাকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমরা যৌথভাবেই প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারি, যেমনটি অতীতেও করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।