পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওদের হাতে অস্ত্র-গুলি। আছে তালা কাটা, সার্টার ভাঙার সরঞ্জাম। টার্গেট বাণিজ্যিক এলাকার শো-রুম, কাপড়ের দোকান, ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস, বিকাশ এজেন্টের প্রতিষ্ঠান। দিনের বেলায় তারা রেকি করে। সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে হানা দেয়। অস্ত্র হাতে পাহারায় থাকে কেউ। বাকিরা দ্রুত তালা, সার্টার কেটে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তে লুট করে নেয় নগদ টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র।
গতকাল রোববার ভোরে নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে হানা দিয়ে অস্ত্রসহ এমন এক ডাকাত চক্রের ১১ সদস্যকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আন্ত.জেলা ডাকাত দলের দুর্ধর্ষ সদস্যরা ডাকাতির নানা কৌশল বর্ণনা করেছে। তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে যায়। লোকজন না থাকলে নীরবে চুরি করে সরে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মীসহ কেউ বাধা দিলে তাকে জিম্মি করেই চলে লুটপাট।
এ যেন ‘নদেইলে চুরি দেইলে ডাকাতি’ (না দেখলে চুরি দেখলে ডাকাতি)। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি-ডাকাতি করে আসছে তারা। তাদের দলনেতা হানিফ ওরফে হাতপোড়া হানিফ। নয় গ্রæপে বিভক্ত এ ডাকাত দলের সদস্য সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।
ডাকাতিকালে বেশকিছু সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করে তারা। টার্গেটকৃত দোকানকে বলে অফিস, তালাকে বলে আম। কার্টারকে গাড়ি, চাঁদরকে বলে ঠোঙা। সার্টার ভাঙার পর লুট করতে যারা ভেতরে ঢোকে তাদের বলে অফিসম্যান। এ সময়ে তাদের কাছে পুলিশ হয়ে যায় তেলাপোকা বা তেইল্লাচোরা। ডাকাতির লুট করা টাকা-পয়সাকে বলে ব্যবসা। ভাগ-বাটোয়ারার সময় লাখ টাকাকে তারা বলে এক টাকা।
রেকি করার পর ডাকাতির সিদ্ধান্ত হলে দলের সদস্যদের টেলিফোনে ডেকে আনা হয়। অপারেশন সফল হলে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয় নির্ধারিত নিয়মে। দলনেতা পান বেশি, বাকিরা কম। ডাকাতি ব্যর্থ হলে দূর থেকে যারা আসেন তারা পান ফিরে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া। ডাকাতি অর্থের একটি অংশ ব্যয় হয় কেউ গ্রেফতার হলে তার মামলা পরিচালনায়। তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও পালন করে এ চক্রের সদস্যরা।
নগরীর নন্দনকানন গোলাপ সিংহ লেইনে হানা দিয়ে গত ২৭ জুন এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে এরা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জুবিলী রোডের আমতল কাজী কম্পিউটারসে হানা দিয়ে ১২টি ল্যাপটপ, ৫২৫ পিস পেনড্রাইভ, ৪৫০ পিস মেমোরি কার্ডসহ ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ওই মামলা তদন্ত করতে এ চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। নগরীর লালদীঘির পাড় জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় হোটেল তুনাজ্জিন আবাসিকের ১০৯ নম্বর কক্ষে তারা অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি এলজি, ৪টি কার্তুজ ও চুরি, ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তারা হলো মো. লিয়াকত হোসেন (২৪), মো. আকরাম ওরফে আরমান ওরফে সাগর (২৩), মো. হানিফ (৪০), মো. তৌফিক (২৬), মো. মাসুম (২৬) নয়ন মল্লিক (২২), মো. মিলন (২৫), মো. কামাল হোসেন (২৮), জামাল উদ্দিন (৩০), মো. কামাল ওরফে ভুসি কামাল (৩২) ও মো. মিজান (২৫)। দলনেতা হানিফ ও সেকেন্ড ইন কমান্ড কামালসহ অন্যদের ধরতে অভিযানচলছে বলে জানান ওসি।
বন্ধুর বাসায় চুরি
ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুর বাসায় চুরি করে ধরা পড়েছেন দুই বন্ধু। এক চোরের দুই স্ত্রী ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার হয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন- সুলতান আরেফিন জীবন (২৮), সাজ্জাদ হোসেন টিপু (৩২), ইসমাইল হোসেন (৩২), মো. শরীফ (৩৮), জেসমিন আক্তার (৩৫) ও রেহানা আক্তার (৩২)। বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, গত ১৯ আগস্ট নগরীর গোসাইলডাঙ্গায় ব্যবসায়ী মো. ইফতেখার হোসেনের বাসায় চুরি হয়। জানালার গ্রিল কেটে প্রায় ৩৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি হীরার আংটি ও একটি নাকফুল এবং নগদ ১৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওসি বলেন, ইফতেখার এবং গ্রেফতার জীবন ও টিপু বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা করেন। টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে জীবন ও টিপু মিলে ইফতেখারের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। গ্রেফতার হওয়া ইসমাইলের মাধ্যমে তারা শরীফ ও আমির নামে দুজন পেশাদার চোরকে চুরির দায়িত্ব দেন। গ্রেফতার জেসমিন ও রেহানা আমিরের দুই স্ত্রী। আমির চুরি করা স্বর্ণালঙ্কারে তার ভাগের অংশ দুই স্ত্রীকে উপহার দেন। তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮ ভরি ৯ আনার ৪ রতি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৪ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।