Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিয়ে দেয়া হলো দুই কর্মচারীকে

ইনকিলাবে আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠা দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে আইন মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার দৈনিক ইনকিলাবে ‘সক্রিয় কর্মচারী সিন্ডিকেট : আদালত অবমাননার মুখোমুখি করছে আইন মন্ত্রণালয়কে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গুরুত্বসহকারে আমলে নেন। পরপরই নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। এ প্রক্রিয়ায় সদ্য বিদায়ী আইন সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী, সিন্ডিকেট নেতা আবু কায়ছার এবং অফিস সহায়ক আব্দুল মজিদকে সলিসিটর শাখায় সরিয়ে দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত এবং বিদায়ী সচিবের প্রভাবমুক্ত করতেই তাকে দিয়ে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজ কর্মচারী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে ইতিমধ্যেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নির্দেশ দিয়েছেন। দপ্তরে দুর্নীতির ‘জিরো টলারেন্স’ প্রতিষ্ঠায় তিনি এ নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনার আলোকে আরো কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে শাস্তির আওতায় আনতে চাইছে মন্ত্রণালয়। এদের বিরুদ্ধে বদলি এমনকি সাময়িক বরখাস্তের মতো কঠিন সিদ্ধান্তও হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে আইন মন্ত্রীর দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের মাঝেও আতঙ্ক নেমে এসেছে বলে জানা গেছে। দু’জন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করার পর নেমে আসে এ আতঙ্ক। তবে স্বপদে বহাল থাকতে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে গোপনে জোর লবিং চালাচ্ছেন বলেও জানায় সূত্রটি। লবিংয়ের তালিকায় আবুল কালাম, কিবরিয়া, টাইপিস্ট রোজী বেগম, রাসেল, ফয়ছাল এবং মো. জালাল রয়েছেন। বদলি ঠেকাতে তারা যথাসাধ্য অর্থ লগ্নিও করেছেন বলে সূত্রে প্রকাশ।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল থেকে নথি গায়েবের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। আবু কায়ছারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে ফাইল থেকে নথি গায়েব করে দেন। ফাইলে না থাকার কারণে আদালত চাইলে নথি দেখাতে পারে না মন্ত্রণালয়। ফলে মন্ত্রণালয়কে আদালত অবমাননার মুখোমুখি হতে হয়। নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল থেকে নথি গায়েব করে দেয়ায় ২০১৮ সালে দুটি আদালত অবমাননার রুল (নং-৫৮৭১/২০১৮,১৬০৮৮/১৮) জারি হয় মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। চলতিবছর আরো দুটি (নং-৩৮/২০১৯, ১০২/২০১৯) রুল জারি হয়। এসব রুলের জবাব দিতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয়। আদালতের ভর্ৎসনা সহ্য করতে হয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ