Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বজ্রবৃষ্টির সতর্কতা

গঙ্গা-পদ্মায় পানি বাড়ছেই

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভারতের ওডিশা উপকূল ও এর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট পশ্চিমা লঘুচাপটি মৌসুমী বায়ুর বলয়ের সাথে মিলিত হয়ে কেটে গেছে। গত সপ্তাহেও একটি পশ্চিমা লঘুচাপ এভাবে নিষ্ক্রীয় হয়ে পড়ে। এদিকে আজ সোমবারসহ সামনের কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কার কথা জানা গেছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্রে।
দেশের সবকটি বিভাগে বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাতের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঊর্ধ্বাকাশ থেকে নিম্নমুখী শীতল জেটবায়ুর সাথে ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি তপ্ত বাতাসের বিপরীত অবস্থা বজ্রপাত কিংবা বজ্রঝড়ের অন্যতম কারণ।

গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অনেক স্থানে বিক্ষিপ্ত এবং হালকা বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেটে ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৫ ডিগ্রি সে.।

এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তাড়াশে ৪৩ মি.মি.। তবে ঢাকা ও বরিশালে মাত্র এক মি.মি., চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৬, ময়মনসিংহে ৫, রাজশাহীতে ১৬, খুলনায় ৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুরে বৃষ্টির ফোঁটা পড়েনি।
আজ সন্ধ্যা সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকাসহ অন্য বিভাগগুলোতে কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যহত থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত প্রধান নদ-নদীসমূহে পানির প্রবাহ সম্পর্কে জানা গেছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর সব পয়েন্টে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গা নদীর পাংখা, রাজশাহী এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ তিন স্থানে গঙ্গা বিপদসীমার যথাক্রমে ১৬৩, ১৮৬ ও ১৩৯ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির সাথেই ভাটিতে অবস্থিত পদ্মা নদীর পানিও বেড়ে চলেছে। বাড়ছে। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ, ভাগ্যকূল ও সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার যথাক্রমে ৯০, ১০৫ ও ৬৬ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃহত্তর সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল গতকাল কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে বিপদসীমার বেশ নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ উত্তর জনপদে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নদ-নদীগুলোতে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে ৯৩টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৪১টি স্থানে পানি বৃদ্ধি এবং ৪৯ স্থানে হ্রাস পায়। অপরিবর্তিত থাকে ৩টি স্থানে। গত শনিবার ৩৬ স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৫৪ স্থানে হ্রাস, শুক্রবার ৩৩ স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৬৮টি স্থানে হ্রাস পাচ্ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কোন নদ-নদী বিপদসীমার ঊর্ধ্বে নেই।

গতকাল ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে আসাম ও মেঘালয়ে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
এদিকে উজানে ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্যাঞ্চল এবং নেপালে অতিবৃষ্টির কারণে নেমে আসা ঢলে অন্যতম প্রধান অববাহিকা গঙ্গা-পদ্মা নদীতে সব পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, গঙ্গা-পদ্মা নদী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীসমূহে পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। সেখানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ