পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ও এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, সরকারের পতন অনিবার্য। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। গতকাল এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলডিপির চেয়ারম্যান দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে একথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে অলি আহমদ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেকোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজের কর্মকান্ডের কারণেই এই সরকারের পতন হবে, পতন যখন হবে নতুন সরকার গঠিত হবে। নতুন সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। এলডিপির যারা সদস্যরা আছেন তাদেরকে আমি সভাপতি হিসেবে এটা নির্দেশ দিচ্ছি- আপনার প্রস্তুতি নিন, নির্বাচনী এলাকা প্রস্তুত করুন। দেশবাসীকেও বলব আপনারাও প্রস্তুত হোন। কারণ সময় বেশি হাতে থাকবে না।
অলি আহমদ বলেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার কাজ হাতে নিয়েছি। আমাদের সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনারা যারা আজকে যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী তাদেরকে অনুরোধ করবো- আপনাদেরকে নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, এই সরকারকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলানোর দরকার নেই, মুভমেন্টের মাধ্যমেও ফেলারও দরকার নাই। কারণ অর্থনৈতিক ধস যেকোনো সময়ে নামবে, ব্যাংকের অবস্থা করুন, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, বেকার যুবকদের চাকরি নাই, তাহলে একটা দেশ কিভাবে চলে? অন্যদিকে দেশে কোনো বিচার নেই। যেখানে যান আপনার সমস্যার কোনো সুরাহা নেই। হসপিটালে যান চিকিসা নেই, স্কুল কলেজে যান লেখা-পড়া নাই। এটা মনে হচ্ছে- কোনো আইন-কানুন এখানে চলছে না এবং সরকার নাই বললেই চলে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একমাস-দুই মাস পরপরই বাইরে যাচ্ছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা তারাও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জবাবদিহিতা না থাকার কারণে জনগণ দিশেহারা। একটা সময় আসবে আপনাদেরকেই জনগণকে বুঝাতে হবে, ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং মুক্তিমঞ্চের অধীনে তাদেরকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। আমি এটাই বলতেই চাই, যেকোনো সময়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকারের পতন হবেই। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে বলতে চাই, এটা কোনো ৫/১০টা ঐক্যজোটের মতো বা কোনো মঞ্চের মতো মঞ্চ নয়। এই মঞ্চ আগামী দিনে এ দেশকে মুক্ত করার জন্য, জনগণকে মুক্ত করার জন্য, জনগণকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য এই মুক্তিমঞ্চ করা হয়েছে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে অলি আহমেদ বলেন, মেগা দুর্নীতি। আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন, এই সরকারের আমলে সুইস ব্যাংকে পাঁচ হাজার কত কোটি টাকা জমা হয়েছে। কানাডায় বেগম পাড়া হয়েছে। হাজার হাজার লোক টাকা পাচার করে মালয়েশিয়ায় চলে গেছে, হাজার হাজার লোক হংকং, সিঙ্গাপুর, ইংল্য্যান্ড, আমেরিকায় বিভিন্ন দেশে পার হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দেড় লাখ লোক দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। এই টাকা গরিব মানুষদের। ব্যাংকের টাকা না থাকার কারণ হলো এই টাকা বিদেশে চলে গেছে।
কাওরান বাজারের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোরআনিক পার্টিসহ বিভিন্ন পেশার কয়েকজন ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় মুক্তিমঞ্চে যোগদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
যোগদান অনুষ্ঠানে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, যোগদানকারীদের মধ্যে আইনজীবী শরীফ আবদুল্লাহ হিল সাকী, আবদুল জলিল, কোরআনিক পার্টির প্রধান ওয়ালী উল্লাহ ফরহাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।