পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ অপেক্ষা করছে কখন রাজপথে নামবে, কখন এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু তারা সাহস পাচ্ছে না, কারণ তাদের সন্তানকে, তাদের কন্যা সন্তানকে, তাদের কিশোরী সন্তানকে, তাদের শিশু সন্তানকে রাজপথে নামলেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী কিংবা প্রশাসনের সন্ত্রাসী বাহিনী ধর্ষণ করবে, না হয় হত্যা করবে।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জনগণের জন্যই আজকে ১৮ মাস ধরে কারাবন্দি হয়ে আছেন। কারণ তিনি জানেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণই তাকে মুক্ত করবে। আর তাই আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আন্দোলন দানা বেঁধেছে। তারা অপেক্ষার প্রহর গুনছে রাজপথে নামার জন্য।
দেশে এখন সাধারণ মানুষের কোনো আইনি অধিকার নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের একটিই লক্ষ্য- আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তিনি মুক্ত হলেও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, আইনি অধিকার ফিরে পাবে। তাই আমরা জনগণকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনাদের গণতন্ত্রের মাতা, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন। আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বারবার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব ইনশাআল্লাহ।
সেলিমা রহমান বলেন, এখন আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই চামড়ার দামে ধস নেমেছে, রড দিয়ে হামলা চলছে, খুন-গুম-হত্যা চলছে, শিশু-নারী নির্যাতন-হত্যা চলছে। এসবের বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। কারণ, তারা জানে আজকে যদি তারা কথা বলে তবে তাদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়বে। তারা জনগণের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জনগণকে কথা বলতে দিচ্ছে না। বিশেষ করে নারী ও শিশুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জাতীয়ভাবে আমাদের শুধু নারী ও শিশু নির্যাতন দিবস পালন করলে চলবে না; আমাদের সব নারী সমাজকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। সেই মিন্নিকে অন্যায়ভাবে আটক করে তার ওপর পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে যারা এ সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে তাদের যাতে কোনো দোষ না হয় সেজন্য তারা নয়ন বন্ডকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, দেশে বিচার বলতে কোনো কিছু নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলায় জামিনযোগ্য হওয়া সত্তে¡ও তার জামিন হচ্ছে না; কারণ বিচার বিভাগ সরকারের হাতে বন্দি। তাদের রায় দেয়ার বা জামিন দেয়ার কোনো স্বাধীনতা নেই। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী আদালতের দরজায় দৌড়াচ্ছে। তাদের মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে আটকে রাখছে। এ অবস্থার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমস্ত দেশের জনগণ জাগরিত করতে হবে।
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।