পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক নারীর সঙ্গে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তদন্ত করবে। গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করছেন। একইসঙ্গে ভিডিওটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। আজ বোরবার তদন্ত কমিটি গঠন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত আছেন। বিষয়টি আমরা দেখছি। দু-এক দিনের মধ্যে এটি সমাধান হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গাফফার খান (জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) জানান, তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখছেন। বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাটি তদন্ত করছে। আজ রোববার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
জানা গেছে, জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের সংবাদ না করারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অতিরিক্ত সচিব গাফফার খান বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নলেজে আছে। তদন্ত কমিটি হবে, এখন দুদিন বন্ধ যাচ্ছে। অফিস খুললেই এটা হবে। তবে এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে তদন্ত হচ্ছে, বিভিন্ন সংস্থা-কর্তৃপক্ষ সেটা করছে। আরও অনেক অথরিটি আছে, তারাও দেখছে। এটা আমাদের নলেজেও আছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিজেকে বাঁচাতে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পকিত ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ এক সাংবাদিক নেতা নিয়ে রাতভর মিটিং করেন। ভোর ৬টায় মিটিং শেষে উপস্থিতরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।