পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ ভারতের ওডিশা উপক‚ল এবং এর সংলগ্ন এলাকায় গতকাল শনিবার একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপটি শুষে নেবে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসমান উত্তর বঙ্গোপসাগরের মেঘমালা। এতে করে ভাদ্রের প্রথম দিকের ‘স্বাভাবিক’ বর্ষণের বদলে বাংলাদেশে আরও অন্তত দুই-তিন দিন বৃষ্টিপাতে খরা দশা বিরাজ করতে পারে। আর বেড়ে যাবে ভাদ্রের তালপাকা গরমের তেজ।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বর্ষার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হলেও অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টি ঝরে হালকা ও সাময়িক। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড টেকনাফে ২৫০ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৮, ময়মনসিংহে ৭, সিলেটে ১৪, রাজশাহীতে ৩, রংপুরে ৩৯ মি.মি.সহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হয়।
গতকাল সারাদেশে তাপমাত্রা ছিল সহনীয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৪.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৩ এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সে.।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী বর্ষণ। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
গঙ্গা-পদ্মায় বাড়ছে পানি
অন্যতম প্রধান অববাহিকা গঙ্গা-পদ্মা নদীর সবকটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অববাহিকার উজানে ভারতের উত্তর প্রদেশসহ মধ্যাঞ্চল ও নেপালে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্রতিদিনই গঙ্গা-পদ্মা নদীতে বাড়ছে পানি। উজানে ঢল-বানের চাপ কমানোর জন্য ভারত নিজের স্বার্থে যদি অতীতের মতো ফারাক্কা বাঁধের গেট-স্পিলওয়েগুলো খুলে দেয় তাহলে ভাটিতে গঙ্গা-পদ্মা পাড়ের জনপদে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমনটি শঙ্কা করছেন পানি বিশেষজ্ঞগণ।
এদিকে গতকাল পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানায়, গঙ্গা-পদ্মা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং তা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
নদ-নদী প্রবাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে, গঙ্গা নদীর পানি পাংখা, রাজশাহী এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে আরো বেড়ে গেছে। এ তিনটি স্থানে গঙ্গার প্রবাহ বিপদসীমার যথাক্রমে ১৭৭, ২০২ এবং ১৫৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির ফলে ভাটিতে পদ্মা নদীর পানিও বাড়ছে। পদ্মা নদী গোয়ালন্দ, ভাগ্যক‚ল এবং সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার যথাক্রমে ৯২, ১১১ ও ৭৪ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানির সমতল গতকাল কোথাও বৃদ্ধি পায়, আবার কোথাও স্থিতিশীল থাকে। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ উত্তর জনপদে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাসের দিকে।
দেশের প্রধান নদ-নদীর ৯৩টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩৬ স্থানে পানি বৃদ্ধি এবং ৫৪ স্থানে হ্রাস পায়। শুক্রবার ৩৩ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি এবং ৬৮টি পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছিল। এখনও কোনো নদর পানি বিপদসীমার ঊর্ধ্বে উঠেনি।
পাউবো জানায়, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।