পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একদিকে মিয়ানমার প্রতারণা ও ছলচাতুরি করছে। অন্যদিকে বিশ^সম্প্রদায় কার্যকর উদ্যোগের পরিবর্তে পিঠ চাপড়িয়ে বাংলাদেশকে মোহগ্রস্ত রাখতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, পূর্ণ নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বাড়ি-ঘর ও সহায়-সম্পদ ফেরত এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত নিতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের মধ্যস্ততা ও উপস্থিতি এবং ফিরে যাওয়ার পরও রোহিঙ্গাদের সাথে কেমন আচরণ করা হচ্ছে, সেই তদারকির সুযোগ থাকতে হবে। এসব দাবি পুরণে মিয়ানমারের কোন তালবাহানা, গড়িমসি ও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকারকে এবিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরিতে জোরালো ক‚টনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মানবতার জায়গা থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ অসহায় রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘদিন এই বিশাল জনগোষ্ঠীর ভার বহনের সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মিয়ানমার ছলচাতুরি ও প্রতারণা করে আসছে। রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত নেয়ার কথা বললেও তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন সমাধানে আসছে না।
আল্লামা কাসেমী বলেন, রোহিঙ্গাদের আস্থাশীল হওয়ার মতো পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া বার বার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়াটা হতাশাজনক। এতে করে মিয়ানমারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ক‚টনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।