Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার ৪ অপহৃত উদ্ধার

যাত্রীবেশে চালককে অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

যাত্রীবেশে গাড়ি আটকে চালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অপহরণকারীরা হলোÑ শাহ জালাল (৩২), ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০) ও রাকিব (২২)। এ সময় ভুক্তভোগী গাড়িচালক এনায়েত উল্লাহকে (৩২) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের চর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকারটি ভাড়া নেয় তারা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, এনায়েত উল্লাহ স¤প্রতি নতুন একটি প্রাইভেটকার কেনেন। চক্রটি সবসময় রেন্ট- এ কারের নতুন গাড়ি ও চালকের আর্থিক অবস্থা দেখে তাদেরকে টার্গেট করতো। ঘটনার দিন মাদারীপুরে যাওয়ার জন্য এনায়েতের গাড়িতে যাত্রীবেশে দু’জন চড়ে বসে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়িটি মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তিনজন গাড়িটিকে থামার সিগনাল দেয়। পরে চালক গাড়ি থামালে চক্রের সদস্যরা এনায়েতকে আটক করে মাদারীপুরের দত্তপাড়ার চর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানকার কাশবনের ছোট একটি ঘরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় তাকে।
র‌্যাব জানায়, চক্রটি নির্যাতনের পর কান্নার শব্দ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবার ও স্বজনদের শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে। পরে র‌্যাব-৪ এর একটি দল প্রায় তিনদিন অভিযান চালিয়ে দুর্গম চর থেকে এনায়েতকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করে।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সমস্যরা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে বিভিন্ন পন্থায় অপহরণ ও ছিনতাই করে আসছিলো। কখনো গাড়িতে উঠেই চালকের হাত-পা বেঁধে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায়। আবার কখনো অস্ত্রের মুখে চালককে নির্ধারিত স্থানে যেতে বাধ্য করে। আবার কখনো মাঝপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তল্লাশির নামে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের সঙ্গে ১০ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। বাকিদের নাম-ঠিকানা জানা গেছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এদিকে, নিজের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে ভুক্তভোগী এনায়েত বলেন, চক্রের কেউ আমার পূর্ব পরিচিত না। তারা ফোন করে গাড়ি ভাড়ার জন্য ঠিক করে। পরবর্তীতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেয় চক্রের একটি গ্রæপ। পরে গাড়ি থামালে তারা আমাকে আটক করে একটি ঘরে নিয়ে বেঁধে কয়েকদিন নির্যাতন চালায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ