পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কেউই রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। রাখাইনে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাছাই করা ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর নাম বাংলাদেশ সরকারকে দেয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াকে মিয়ানমারের আগ্রহ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় কিনা সেটা নিশ্চিতে জরিপ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করে আসছে ইউএনএইচসিআর। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তাদের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় কিনা তা জানতে কাজ করেছে। তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের মধ্যে কেউই এই সময়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যেতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউএনএইচসিআর শরণার্থীদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। একই সঙ্গে সরকারের থেকে ধারাবাহিক প্রতিশ্রæতির প্রশংসাও করে সংস্থাটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তারাও একমত যে, শরণার্থীদের যেকোনো প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও মর্যাদার ভিত্তিতে হতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফেরাতে ও তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে ইউএনএইচসিআর উভয় সরকারকে (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) সহায়তা দিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।