পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্ত¡া আরজু মনির হত্যাকাÐ নিয়ে কোনো মানবাধিকারের কথা বলেন না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাÐের হুকুমদাতাদের যতদিন নির্মূল করতে পারব না, ততদিন মানবাধিকার সমুন্নত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে তাদেরকে নির্মূল করতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
গতকাল রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিআইডবিøউটিএ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিআইডবিøউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ ।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্টে শুধু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নয়; ঘাতকরা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া, মোশতাক গংরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে ইসলামিক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্তম্ভকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে পরবর্তীতে আইনে পরিণত করেন। জিয়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত দালালদের বিচারের জন্য তৈরি করা দালাল আইন বাতিল করা হয়েছিল। খুনিদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত অপরাধি জয়পুরহাটের আব্দুল আলীমকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন। চিহ্নিত খুনি রশিদ-ফারুক গংদের বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। হাজার হাজার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এরশাদ, খালেদা জিয়ার সময়েও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পায়।
বিআইডবিøউটিএর সদর দফতর ও ঢাকা নদী বন্দরের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল নদী বন্দরে পৃথকভাবে বিআইডবিøউটিএর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।